সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৯ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

রায়পুরায় টুং টাং শব্দে জেগেছে কামারপাড়া 

আপডেট : ০৬ জুলাই ২০২২, ১২:৩৩

ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। এরই মধ্যে পশু জবাইয়ের প্রয়োজনীয় হাতিয়ার তৈরি ও পুরোনো হাতিয়ার শাণ (ধার) দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন নরসিংদীর রায়পুরার কামার শিল্পীরা। 

সরেজমিনে উপজেলার কামার বাড়ির মোড়, সাপমারা, হাসিমপুর, রাধাগঞ্জ, মরজাল, চরসুবুদ্ধি, আমিরগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন বাজার গুড়ে দেখা গেছে, কামারশালাগুলোর পাশ দিয়ে গেলেই কানে বাজছে যন্ত্র গুলো শাণীত করার ও লোহা পেটানোর টুং টাং শব্দ। একটু দাঁড়িয়ে খেয়াল করলেই দেখা যায় কামারদের ব্যস্ততার চিত্র। আসন্ন ঈদুল আজহার জন্য প্রয়োজনীয় ছুরি, চাপাতি, বঁটি বানানোর কাজ চলছে পুরোদমে। 

ছুরি বঁটি কিনতে আসা ইব্রাহিম মিয়ার সাথে কথা হয়। তিনি জানান, 'গত দুই বছর মহামারীর কারণে বাড়ি থেকে অনেকে বের হতে পারি নাই। এ বছর বড় পশু কোরবানি দিবো নতুন ছুরি-বঁটি কিনতে হবে। দাম বেশ চড়া, তারপরও কিনতে হচ্ছে।' 

শমীর কর্মকার, রবি ভৌমিকসহ আরও কয়েকজন কামারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মূলত বছরের এই সময়টির জন্য সারা বছর অপেক্ষা করেন তারা। বছরের এই একটা সময়ই তাদের ব্যবসার মূল এ সময় বেচাকেনাও হয় ভালো। এ সময় নতুন হাতিয়ার তৈরির পাশাপাশি পুরোনো হাতিয়ারের মরিচা ছাড়িয়ে নেওয়ার তোড়জোড়ও থাকে বেশি।

মহাদেব কর্মকার বলেন, 'লোহার দাম একটু বেশি পড়ছে। চাপাতি প্রতি কেজি ৩শ থেকে ৭শ টাকা দরে, অন্যদিকে চামড়া ছাড়ানোর ছুরি ৬০ থেকে ১২০ টাকা। পশু জবাইয়ের ছুরি ২শ টাকা থেকে ৬শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে চায়নিজ কুড়াল বিক্রি হচ্ছে ৩শ থেকে ১ হাজার টাকা দরে।’
 
বিনয় কর্মকার জানান, 'আমি দীর্ঘদিন ধরে কামারের কাজ করি। সারা বছর আমরা বিভিন্ন কাজ করলেও কোরবানির ঈদের আগে আমরা শুধুই ছুরি, চাপাতি, বঁটি বানানোর কাজে ব্যস্ত থাকি। নতুন ছুরি ও চাকু তৈরির চেয়ে পুরোনো ছুরিতে ধার দেওয়ার চাহিদাই এ সময় বেশি। আমরা সারা বছরই এ সময়ের অপেক্ষা করে থাকি। গত দুই বছরের ছেয়ে এ বছর চাহিদা বেশি। আশা করি লাভবান হবো।' 

রায়পুরা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আজিজুর রহমান বলেন, ‘ঈদুল আজহার নাম করে নাশকতা করার জন্য কেউ হাতিয়ার প্রস্তুত করছেন কি না সে বিষয়েও কঠোর নজরদারি রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

ইত্তেফাক/এসজেড

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন