মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ১৮ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

৩ কিশোরকে ভারতে পাচারের অভিযোগ

আপডেট : ১৩ জুলাই ২০২২, ১৯:৪৭

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় ৩ কিশোরকে ভারতে পাচারের অভিযোগ উঠেছে। কিশোররা হলেন উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের কান্দি গ্রামের কালিপদ বাড়ৈর ছেলে কিশোর বাড়ৈ (১৬), ধারাবাশাইল গ্রামের বিপুল রায়ের ছেলে বিশ্ব রায় (১৭) ও একই গ্রামের গোপাল বিশ্বাসের ছেলে অখিল বিশ্বাস (১৫)।

এদের মধ্যে অখিল বিশ্বাসকে টাকা দিয়ে পাচারকারীদের কবল থেকে ফিরিয়ে এনেছে বলে জানিয়েছে তার পরিবার। অপর দুই কিশোরকেও তাদের পরিবার টাকার বিনিময়ে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে বলে সরেজমিনে জানা গেছে।

কান্দি ইউনিয়নের কান্দি গ্রামের কুট্টি বাড়ৈর ছেলে অসীম বাড়ৈ ব্যবসার প্রলোভন দিয়ে এই তিন কিশোরকে ভারতে পাচার করেছে বলে পাচারকৃত কিশোরদের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।

পাচারকারীদের কবল থেকে ফিরে আসা কিশোর অখিল বিশ্বাস বলেন, ‘গত শনিবার (৯ জুলাই) রাতে আমাদের তিনজনকে অসীম বাড়ৈ ভারত সীমান্তে পৌঁছে দেয়। সেখান থেকে তার লোকজন আমাদের ব্যবসার কথা বলে ভারতে নিয়ে যায়। ভারতে গিয়ে আমি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করি। আমার মা-বাবা আমাকে দেশে ফিরে আসতে বলে। এরপর আমার পরিবারের লোকজন পাচারকারীদের ২০ হাজার টাকা দিয়ে আজ বুধবার (১৩ জুলাই) আমাকে দেশে ফিরিয়ে আনেন।’

কিশোর বাড়ৈর মা সীমা বাড়ৈ বলেন, ‘অসীম বাড়ৈ আমার ছেলেকে ভারতে পাচার করে দিয়েছে। এ ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় মেম্বার আকাশ বিশ্বাসের উপস্থিতে গত মঙ্গলবার রাতে (১২ জুলাই) অসীম বাড়ৈর বাড়িতে সালিস বৈঠক হয়। সালিস বৈঠকের পরে আমরা আমাদের ছেলেকে ফিরিয়ে আনার জন্য মেম্বার আকাশ বিশ্বাসের কাছে ৪০ হাজার টাকা দিয়েছি।’

এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি মেম্বার আকাশ বিশ্বাসের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘তিন কিশোরকে ভারত থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য এলাকায় সালিস বৈঠক হয়েছে। তবে এই তিন কিশোরকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আমি কারো কাছ থেকে কোনো টাকা পয়সা গ্রহণ করিনি।’

অসীম বাড়ৈ বলেন, ‘আমি ওই তিন কিশোরকে পাচার করিনি। তারা স্বেচ্ছায় আমার এক আত্মীয়র মাধ্যমে ভারতে কাজ করতে গিয়েছে। এদের মধ্যে থেকে একজন দেশে ফিরে এসেছে। বাকিদেরও ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা চলছে।’

কোটালীপাড়া থানার ওসি মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘ওই তিন কিশোরের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কোটালীপাড়া থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

ইত্তেফাক/মাহি