শুক্রবার, ০৯ জুন ২০২৩, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

ফুলবাড়ীতে পরিবহনে নেওয়া হচ্ছে ৭০০ টাকার ভাড়া ১৫০০  

আপডেট : ১৬ জুলাই ২০২২, ১২:১৯

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলগামী যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ ওঠেছে। কোনো কোনো পরিবহন আদায় করছে দেড় থেকে দ্বিগুণ ভাড়া। কাউন্টারে চাহিদামতো ভাড়া দিতে অস্বীকৃতি জানালে টিকিট নেই বলে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে যাত্রীদের। তবে কাউন্টার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পরিবহন মালিকদের নির্ধারিত ভাড়া আদায় করছেন তারা। এখানে বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না। 

জানা যায়, ভাড়া বৃদ্ধির এমন চিত্র পার্বতীপুর-ঢাকা, নবাবগঞ্জ-ঢাকাসহ জেলার প্রায় সর্বত্রই ঢাকাগামী বাসে। শনিবার ঢাকা যাওয়ার জন্য টিকিট কেনা যাত্রী মধ্যপাড়া এলাকার বেলাল হোসেন বলেন, ‘দেড় হাজার দিয়ে টিকিট কাটতে হয়েছে। আগে এর ভাড়া ছিল ৭০০ টাকা।’

টিকিট কাউন্টারে থাকা আকবর আলী বলেন, ‘গাড়ির মালিকদের নির্দেশে এমন ভাড়া নিতে হচ্ছে।’ 

ওই পরিবহনের ম্যানেজার আজিজার রহমান বলেন, ‘এখান থেকে গাড়িভর্তি যাত্রী পাওয়া গেলে ফিরতি গাড়িতে যাত্রী কম থাকছে। ফলে কোচের তেল ও বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল খরচও উঠছে না। এ কারণে যাওয়ার সময় মালিকরা একটু ভাড়া বৃদ্ধি করেছেন, যাতে কোম্পানি আর্থিক লোকসানে না পড়ে।’ 

একই হারে ভাড়া নিচ্ছেন ঢাকা গামী অন্যান্য পরিবহনও। ফুলবাড়ী থেকে বগুড়া, রাজশাহী, নগরবাড়ী, পাবনা, সিলেট ও চট্রগ্রামগামী পরিবহনগুলোতেও একই অবস্থা দেখা গেছে। 

যাত্রীরা বলছেন, ঢাকার গাবতলীগামী নরমাল পরিবহনগুলোতে ঈদের আগে ভাড়া ছিল গাড়ির প্রকার ভেদে সাড়ে ৩০০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত। আবার এসি গাড়ির ভাড়া ছিল ৯০০ থেকে ১১০০ টাকা পর্যন্ত। এখন নেওয়া হচ্ছে নরমালে যাত্রী বুঝে ৯০০ থেকে ১৫০০ টাকা এবং এসিতে দুই হাজার থেকে দুই হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত। তবে ঢাকা থেকে ফুলবাড়ীগামী পরিবহনগুলোতে নেওয়া হচ্ছে গাড়ির প্রকার ভেদে নরমালে ৪০০ থেকে ৭৫০ টাকা এবং এসিতে এক হাজার থেকে এক হাজার ১০০ টাকা। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘পরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে, এমন অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ইত্তেফাক/মাহি