শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

কেন্দুয়ায় আকস্মিক ঘূর্ণিঝড়ে স্কুলঘরসহ গাছপালা বিধ্বস্ত, পাঠদান ব্যাহত

আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২২, ১৮:১২

আকস্মিক ঘূর্ণিঝড়ে নেত্রকোনার কেন্দুয়া পৌরশহরের আলহাজ্ব আতিকুর রহমান ভূঞা একাডেমির শিক্ষার্থীদের পাঠদানের একটি টিনশেড ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া গাছ ভেঙে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিক্ষকদের অফিস কক্ষটিও।

এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকার গাছপালা ভেঙে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অন্তত ৩০টি স্থানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পল্লীবিদ্যুতের খুঁটি। 

শনিবার (২৩ জুলাই) সন্ধ্যারাতে ওই আকস্মিক ঘূর্ণিঝড়টি বয়ে গেলে এসব ক্ষয়ক্ষতি হয়।  

এতে বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে বলে রবিবার (২৪ জুলাই) দুপুরে বিদ্যালয়টির সহকারী প্রধান শিক্ষক শারমীন রোখশানা জানান। 

তিনি বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে তিনটি টিনশেড ঘর রয়েছে। এরমধ্যে একটি শিক্ষকদের অফিস কক্ষ ও বাকী দুটি ঘর পাঠদানের শ্রেণি কক্ষ হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বিভিন্ন শ্রেণি মিলিয়ে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী রয়েছে ৯ শতাধিক। পাঠদানের দুটি টিনশেড ঘরের মধ্যে শনিবারের ঘূর্ণিঝড়ে একটি ঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণির প্রায় ৪শ শিক্ষার্থীর পাঠদানে বিঘ্ন ঘটছে। তবে আমরা শিফট করে শিক্ষার্থীর পাঠদানের চেষ্টা করছি। 

ঘূর্ণিঝড়ে স্কুলের পাশে থাকা গাছ ভেঙে পড়ে  শিক্ষকদের অফিস কক্ষটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জানিয়ে অবিলম্বে ঘরগুলো মেরামত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেন শারমীন রোখশানা।

এ নিয়ে কথা হলে পল্লীবিদ্যুতের কেন্দুয়া এরিয়া অফিসের ডিজিএম মজিবুর রহমান বলেন, রাতে ঝড়ো বাতাস ও প্রচণ্ড বৃষ্টির কারণে বিদ্যুতের যে সব খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল সেগুলো দ্রুত মেরামত করে সচল করা হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাইফুল আলম বলেন, স্কুলঘর বিধ্বস্ত হওয়ার বিষয়টি আমি শুনেছি। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বিকল্প উপায়ে পাঠদান চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আর তা যদি কোনোভাবেই সম্ভব না হয় তাহলে বিষয়টি লিখিতভাবে আমাদেরকে জানাতে বলেছি। পাশাপাশি বিধ্বস্ত ঘরটি মেরামতের জন্য দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হবে বলেও তিনি জানান।

 

ইত্তেফাক/এআই