শনিবার, ০৩ জুন ২০২৩, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নির্যাতন!

আপডেট : ২৫ জুলাই ২০২২, ০১:৪৮

১৭ জুলাই রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রীতিলতা হল থেকে বোটানিক্যাল গার্ডেনে যাওয়ার রাস্তায় যৌন নির্যাতনের শিকার হন এক ছাত্রী। বিজ্ঞজনেরা মনে করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীকে হেনস্তা দুঃখজনক, অপ্রত্যাশিত ও চরম হতাশাজনক। এর জন্য উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন তারা। বরাবরই এমন অপরাধের প্রতিবাদ করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তীব্র আন্দোলনে নামেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীরা। টানা আন্দোলনের পরে শিক্ষার্থীরা লিখিত চার দফায় স্বাক্ষর করে চার কর্মদিবসের মধ্যে দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেয় চবি প্রশাসন। 

২৩ জুলাই দুপুরে ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) অভিযুক্ত ছাত্রদের আজীবনের জন্য বহিষ্কার করার ঘোষণা দিয়েছেন উপাচার্য ড. শিরীণ আখতার। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৪তম বার্ষিক সিনেট সভায় তিনি এই ঘোষণা দেন। উপাচার্য বলেন, ‘ছাত্রী হেনস্তার ঘটনায় জড়িত শিক্ষার্থীদের আজকালের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ডিসিপ্লিনারি কমিটির মাধ্যমে তাদের আজীবনের জন্য বহিষ্কার করব। এ ব্যাপারে আমরা কোনো ছাড় দেব না।’

এর আগে বাজেট আলোচনায় সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়েশা খান বলেন, ‘আমি এখানকার সাবেক ছাত্রী। আমার ক্যাম্পাসে একজন ছাত্রী বা ছাত্র নিপীড়নের শিকার হবে, এটা কখনো কাম্য নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ ধরনের নিপীড়নের সঙ্গে জড়িত, এটা শুনে তো আমি হতভম্ব হয়ে গেছি। ক্যাম্পাসে যেন এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে, সে জন্য কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।’

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ড. মালেকা বানু মনে করেন, রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয়ে এমন অপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা বন্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা ভাবি, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ। কিন্তু দিনের পর দিন ভিন্ন ভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নির্যাতন বন্ধে কমিটি থাকার নির্দেশ আছে। সেই নির্দেশ কতটা কার্যকর হচ্ছে তা মাহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে মনিটরিং করার বিষয়ে বলেন তিনি। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার শুধু নয়, তাদের কঠোর শাস্তির আওতায় এনে উদাহরণ সৃষ্টি করতে হবে, যাতে কেউ এমন অপরাধ না করে।

 

ইত্তেফাক/ইআ