গাজীপুরে আবাসিক হোটেলে তরুণী হত্যার রহস্য অবশেষে উন্মোচন হয়েছে। ২০১৮ সালের ১৯ এপ্রিল এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হলেও পাঁচ বছর পর গাজীপুর পিবিআই এ মামলার রহস্য উদঘাটন এবং এতে জড়িত অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এরা হলো-ময়মনসিংহের গৌরীপুর থানার পালোহাটি গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে জিয়াউর রহমান ওরফে সুমন, একই জেলার ত্রিশাল থানার আমিরবাড়ি গ্রামের মৃত ইয়াসিন আলীর ছেলে কামরুল হাসান সবুজ এবং মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী থানার রাউতভোগ গ্রামের আয়নাল ফকিরের ছেলে আমির হোসেন ফকির।
এ ব্যাপারে গাজীপুরে পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান জানান, গাজীপুর সদর উপজেলার হোতাপাড়া এলাকায় অবস্থিত বৈশাখী আবাসিক হোটেলে তরুণীদের দিয়ে যৌন ব্যবসা করানো হতো। ঘটনার দিন হোটেল কর্মচারীরা এক তরুণীর সঙ্গে জোরপূর্বক অনৈতিক শারীরিক সম্পর্ক করতে চাইলে বাগবিতণ্ডা হয়। তার জেরে ঐ তরুণীকে গলাটিপে হত্যা করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামিরা এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। গতকাল বুধবার তাদের গাজীপুর আদালতে পাঠানো হলে সেখানে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তবে পাঁচ বছরেও ঐ ভুক্তভোগী তরুণীর পরিচয় পাওয়া যায়নি।