শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৪ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা

জবিতে পরীক্ষার সুযোগ পেয়েছেন ভিন্ন কেন্দ্রের শিক্ষার্থীরা

আপডেট : ৩০ জুলাই ২০২২, ১৪:২১

দেশের ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা। বেলা ১২টা থেকে বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত 'ক' ইউনিটের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। দেশের অন্যান্য কেন্দ্রের মত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসও সকাল থেকে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর ছিল। এদিন অন্য কেন্দ্রের বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থী ভুলবশত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে আসলে মানবিক দিক বিবেচনায় তাদের পরীক্ষাও বিশ্ববিদ্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। 

এদিকে সার্বিক শৃঙ্খলা রক্ষায় তৎপর ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও আশেপাশে মোতায়েন ছিল পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য। একইসঙ্গে রেঞ্জার ইউনিট, বিএনসিসি ও রোভার স্কাউটসহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোও পরীক্ষার্থীদের সহায়তায় সচেষ্ট ছিল। 

পরীক্ষা ১২টায় শুরু হলেও শনিবার সকাল ৯টা থেকেই ভর্তিচ্ছুরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন গেট, দ্বিতীয় গেট, তৃতীয় গেট এবং পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের গেট দিয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশে সুযোগ করে দেওয়া হয়। প্রবেশপথের পাশেই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সহায়তা ডেস্ক ছিল। যেখান থেকে ভর্তিচ্ছুরা পরীক্ষা রুম ও অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

এদিকে ভুল করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে চলে আসা ৮০ জন শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে ক্যাম্পাসেই। কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একটি রুমে সেই শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে বিশেষ ব্যবস্থাপনায়। তবে এবছর বিশেষ কোটার কোনো শিক্ষার্থী মেডিক্যাল সেন্টারে পরীক্ষা দেয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মো. মহিউদ্দিন বলেন, ‘বেশ কিছু পরীক্ষার্থী ভুল করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে এসেছে। মানবিক দিক বিবেচনায় তাদের তাদের পরীক্ষা ক্যাম্পাসেই নেওয়া হচ্ছে। সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা হয়েছে।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘সুশৃঙ্খলভাবে ভর্তি পরীক্ষা হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি৷ যেসব শিক্ষার্থী ভুল করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে আসছে, তাদের পরীক্ষাও নেওয়া হচ্ছে।’                       

ইত্তেফাক/মাহি