আলেয়া বেগম (৫৫) নামে একজন নারী নিজেই নিজের গলা কেটে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছেন জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক। সোমবার (১ আগস্ট) দুপুরে ওসি নিহত নারীর পরিবারের বরাত দিয়ে এতথ্য জানান।
সোমবার (১ আগস্ট) সকালে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার শ্যামকুড় ইউনিয়নের পদ্মপুকুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এসময় আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই নারীকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, আলেয়া বেগম চুয়াডাঙ্গার জীবননগর পৌর এলাকার বাঁকা আশতলা পাড়ার সামসুল হকের স্ত্রী। এবং মহেশপুর উপজেলার শ্যামকুড় ইউনিয়নের পদ্মপুকুর গ্রামের মৃত হাজি মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিনের মেয়ে। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন রোগে ভুগছিলেন।
পরিবারের সদস্যরা জানান, কিছু দিন আগে আলেয়া বেগম পিতার বাড়ি পদ্মপুকুর গ্রামের বেড়াতে আসেন। সেখানে আজ সোমবার ভোরে বাড়ির দ্বিতীয় তলায় নিজ কক্ষে বটি দিয়ে নিজের গলা কাটেন তিনি। বিষয়টি পরিবারের সদস্যরা দেখতে পেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এর কিছুক্ষণ পর সকাল সাড়ে ৭টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
জীবননগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক বলেন, ‘ওই নারী মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। যেহেতু ঘটনাস্থল মহেশপুর থানা এলাকার, এজন্য বিষয়টি মহেশপুর থানায় জানানো হয়েছে।’
মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম মিয়া বলেন, ‘বিষয়টি জীবননগর থানা পুলিশের মাধ্যমে জানার পর পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।’