আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে মার্কিন ড্রোন হামলায় আল কায়েদার শীর্ষ নেতা আয়মান আল-জাওয়াহিরি নিহত হয়েছেন। গত রবিবার ড্রোনের মাধ্যমে ওই হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ। সোমবার (১ আগস্ট) মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন টেলিভিশনে দেওয়া এক বক্তব্যে জাওয়াহিরির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন।
আয়মান আল-জাওয়াহিরি ১৯৫১ সালে মিসরের কায়রো নগরীর মাদি অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পেশায় চিকিৎসক ছিলেন। প্রথম জীবনে তিনি মিসরের ইসলামী নেতা সাইয়িদ কুতুবের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন। এই সাইয়িদ কুতুবকে বিশ্ব জেহাদী আন্দোলনের আদর্শিক গুরু বলে মনে করা হয়।
মিসরে প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাতকে হত্যার পর সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে হাজার হাজার মানুষকে জেলে ভরা হয়, জাওয়াহিরিও তখন আটক হন।
বলা হয়, এই জেলবন্দি অবস্থাতেই তিনি তথাকথিত জেহাদে দীক্ষা নেন। ১৯৮৪ সালে যখন তিনি মুক্তি পান, তারপরই চলে যান আফগানিস্তানে, সোভিয়েত সৈন্যদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। সেখানেই তার প্রথম দেখা হয় ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে, তারপর তারা আল কায়েদা নামের সংগঠন গড়ে তোলেন।
২০১১ সালে পাকিস্তানে এক মার্কিন হামলায় ওসামা বিন লাদেন নিহত হওয়ার পর আয়মান আল-জাওয়াহিরি আল কায়েদার দায়িত্ব নেন। তার আগে জাওয়াহিরিকে ওসামা বিন লাদেনের ডান হাত আর আল-কায়েদার মূল চিন্তাবিদ বলে গণ্য করা হত। অনেকে মনে করেন জাওয়াহিরিই ছিলেন ১১ সেপ্টেম্বর হামলার মূল রূপকার। সূত্র: বিবিসি