শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

৪৫ দিন পর কলেজে ফিরলেন সেই অধ্যক্ষ

আপডেট : ০৩ আগস্ট ২০২২, ১৮:৫২

নড়াইলের মীর্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে লাঞ্ছিতের ঘটনার দীর্ঘ ৪৫ দিন পর পর তাকে বরণ করে নিলেন ওই কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। বুধবার (৩ আগস্ট) দুপুরে কলেজ গেট থেকে গলায় ফুলের মালা দিয়ে তাকে বরণ করে নেন। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নড়াইল-১ আসনের সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুস সালাম হাওলাদার, রেজিস্ট্রার মোল্যা মাহফুজ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট অচিন কুমার চক্রবর্তী, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাহমুদুর রহমান, বিছালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হেমায়েত হোসেন ফারুক, জিবি সদস্য, জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।

অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস। ছবি: ইত্তেফাক

কলেজে প্রবেশের সময় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘১৮ জুন কয়েকজন ষড়যন্ত্রকারী যে ঘটনা ঘটিয়েছে তা ভুলে যেতে চাই। সমাজে ষড়যন্ত্রকারীর সংখ্যা হাতে গোনা, ভালো মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি। সমাজে ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠিত হবেই। এ ঘটনার পর জেলা ও পুলিশ প্রশাসন, শিক্ষা বিভাগসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ আমাকে সান্ত্বনা দিয়েছেন। আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞ। আজ সবাই যেভাবে আমাকে সম্মান দেখিয়েছে তাতে আমি অভিভূত। আমি নিজেকে ধন্য ও গর্বিত মনে করছি। সত্য চিরকাল সত্য, সত্য সর্বদা জয়লাভ করে। সে কারণে আজ আমি জয়লাভ করে পুনরায় এখানে ফিরে এসেছি।’

স্বপন কুমার বিশ্বাস। ছবি: ইত্তেফাক

উল্লেখ্য, নড়াইলের মীর্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র রাহুল দেব রায় ভারতের বিজেপির বহিস্কৃত নেত্রী নূপুর শর্মাকে প্রণাম জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেয় বলে অভিযোগে ওঠে। এরপর কলেজ ক্যাম্পাসে ১৮ জুন এক সহিংস ঘটনার পর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস ও শিক্ষার্থী রাহুল দেব রায়কে পুলিশের সামনে জুতার মালা পরিয়ে কলেজ থেকে বের করে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হলে ১৯ জুন থেকে কলেজটি বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর দীর্ঘ ৩৬ দিন কলেজ বন্ধ থাকার পর গত ২৪ জুলাই কলেজ খুললেও অধ্যক্ষ কলেজে যাননি। 

স্বপন কুমার বিশ্বাস। ছবি: ইত্তেফাক

এ ঘটনায় ঐ ছাত্রের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয় এবং অধ্যক্ষকে জুতার মালা পরানোর ঘটনায় মীর্জাপুর পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুরসালিন বাদী হয়ে অজ্ঞাত ১৭০-১৮০ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এ মামলায় এ পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে। 

ইত্তেফাক/এএএম