খুলনায় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে মাত্র ১৫ মিনিটের ব্যবধানে ছয়জনের পকেট থেকে মানিব্যাগ, টাকা ও মোবাইল ফোন চুরি হয়েছে। বুধবার (৩ আগস্ট) বিকালে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান।
ওসি বলেন, ‘সর্বোচ্চ ১৫-২০ মিনিটের মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে। এত ভিড়ে কেউ বুঝতে পারেনি।’
এর আগে মঙ্গলবার (২ আগস্ট) সকালে পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি বধ্যভূমি এলাকায় অভিনব কায়দায় এ পকেটমার হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে কপিলমুনি বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। এসময় সেখানে সংসদ সদস্য আখতারুজ্জামান বাবু, কপিলমুনি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কওসার আলী জোয়ার্দারসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রতিমন্ত্রী স্থান ত্যাগ করার পর অনেকে তাদের পকেটে হাত দিয়ে অবাক হন। কিছু সময়ের মধ্যে কপিলমুনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি যুগলকিশোরদের পকেট থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা, সাংবাদিক তপন পালের ৫ হাজার টাকা, কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান কওসার আলী জোয়ার্দারের ৯ হাজার টাকা খোয়া গেছে। এসময় কপিলমুনি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক রাজু ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সমীরণ সাধুর মোবাইল ফোন চুরি হয়।
এদিকে, সাংবাদিকদের ধারণ করা একাধিক ছবিতে দেখা যায়, মন্ত্রীর সামনে দাঁড়িয়ে থাকা খর্বাকৃতি প্রকৃতির মধ্য বয়স্ক মাস্ক পরা ব্যক্তি কপিলমুনি আওয়ামী লীগের সভাপতি যুগলকিশোরদের পাঞ্জাবির পকেটে কৌশলে হাত ঢুকিয়ে দিয়েছেন। পুলিশ সদস্য উপস্থিত থাকলেও পকেটমার সুকৌশলে তার কাজ করে যাচ্ছেন। স্থানীয়রা তাদের প্রতিক্রিয়ায় ঘটনাটিকে ‘ম্যারাথন পকেটমার’ বলে অভিহিত করেছেন।
কপিলমুনি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ভুক্তভোগী আব্দুর রাজ্জাক রাজু জানান, প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন তার মোবাইল ফোন ভিড়ের মাঝে হারিয়ে গেছে। তবে পরবর্তীতে অন্যদের ঘটনা ও ছবি দেখে নিশ্চিত হয়েছেন, তার মোবাইল ফোনটিও পকেটমারের খপ্পরে পড়েছে।
ওসি জিয়াউর রহমান বলেন, ‘মুখে মাস্ক থাকায় তাৎক্ষণিক ওই ব্যক্তিকে চেনা সম্ভব হয়নি। তবে প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, অতি পেশাদার পকেটমার। তাকে আটক করতে অভিযান শুরু হয়েছে। আটকের পর বিস্তারিত জানানো হবে।’