বঙ্গবন্ধু মোংলা-ঘাষিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌ ক্যানেলে খনন কাজে নিয়োজিত একটি ড্রেজারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার ভোর ৪ টার দিকে এম রহমান নামক ড্রেজারে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোংলা নৌ পুলিশের ইনচার্জ শিশির ঘোষ।
এম রহমান ড্রেজারের ম্যানেজার গোপিনাথ দাস জানান, বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে ৯ সদস্যের ডাকাতদল ড্রেজারে উঠে ষ্টাফদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত ও জিম্মি করে এবং মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে মালামাল লুট করে।
ডাকাতদল ড্রেজারের দেড় হাজার লিটার ডিজেল, আট ড্রাম রং, একটি পাম্প মটর, ১৬ কেজি গ্রিজ ও ১০ বস্তা নাট-বোল্ট লুট করে নিয় যায়। এ সময় ডাকাতদলের হামলায় ড্রেজারের ষ্টাফ মোঃ জাহিদুল কবির (৩৫), লোকমান হোসেন (৩৮) ও রিপন শেখ (২৮) গুরুতর আহত হন। তাদেরকে ভোরেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ডাকাতদল ঘটনাস্থল ত্যাগ করলে ড্রেজারের সিনিয়র টেকনিশিয়ান মোঃ নিজাম ৯৯৯ নম্বরে কল দেন। সেই কলের প্রেক্ষিতে ভোর ৫টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মোংলা নৌ পুলিশের একটি দল। পরে ডাকাতির মালামাল উদ্ধারে নৌ পুলিশ অভিযান শুরু করেন।
অভিযানে মোংলা বন্দরের পশুর নদীর চিলা খালের চিনির ব্রিজ এলাকা থেকে মোঃ রাসেল (২৫) নামের ডাকাতদলের এক সদস্যকে আটক করে নৌ পুলিশ। এ সময় ডাকাতদলের ব্যবহৃত ট্রলার থেকে আংশিক মালামালও উদ্ধার করা হয়।
আটক রাসেলের বাড়ী উপজেলার চিলা ইউনিয়নের দক্ষিণ হলদিবুনিয়ার চিনির ব্রিজ এলাকায়। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান গোপীনাথ।
মোংলা নৌ পুলিশের ইনচার্জ শিশির ঘোষ বলেন, ৯৯৯ নম্বরের কল পেয়ে প্রথমে ড্রেজারে ডাকাতির ঘটনা জানতে পারেন তারা। তাপর তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযান চালিয়ে একজনকে আটক করতে সক্ষম হন। বাকি আটজন ট্রলার ও ডাকাতির মালামাল ফেলে পালিয়ে যায়। বাকীদের আটক ও মালামাল উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।