চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই দুই দিনের সফরে আজ শনিবার (৬ আগস্ট) ঢাকায় আসছেন। তার এই সফরে দুই দেশের মধ্যে পাঁচটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। এছাড়া তার সফরে তাইওয়ান প্রণালির যুদ্ধাবস্থা এবং আন্তর্জাতিক ইসু্য গুরুত্ব পেতে পারে।
চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী আজ সন্ধ্যায় বিশেষ বিমানে ঢাকায় আসছেন। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানাবেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। রাতে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আয়োজিত এক নৈশভোজে যোগ দেবেন তিনি। আগামীকাল রবিবার সকাল সাড়ে ৭টায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপর সকাল সাড়ে ৯টায় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত্ করবেন। রবিবারই তার ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।
সূত্র জানায়, চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরে পাঁচটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। এই সফর নিয়মিত বৈঠকের অংশ না হওয়ায় আলোচনার নির্দিষ্ট কোনো এজেন্ডা নেই। তবে বেইজিং ভূ-রাজনৈতিক ইসু্যতে আলোচনার কথা জানিয়েছে। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, এর ফলে উদ্ভূত খাদ্য ও জ্বালানিসংকট ও বাণিজ্যসংকটের বিষয়গুলো আলোচনায় আসতে পারে। এছাড়া বৈঠকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সফরে সই হওয়া ২৭টি চুক্তির অগ্রগতি পর্যালোচনা করবে দুই দেশ। আর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সার্বিক বিষয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে।
চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের বিষয়ে বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ভবিষ্যত্ দিনগুলোতে দুই দেশের কী সম্পর্ক হবে সেটি নিয়ে আলোচনা হবে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীনের ভূমিকা আরো জোরালো করার আহ্বান জানাবে বাংলাদেশ। প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটি আমাদের অগ্রাধিকারমূলক বিষয় এবং আমরা এটি জোরালোভাবে তুলব।
এর আগে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০১৭ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। যদিও ঐ সফর ছিল রোহিঙ্গা সংকটকেন্দ্রিক।