বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

মানবিক সাংবাদিকতায় পুরস্কার পেলেন ইত্তেফাকের সায়ীদ আলমগীর

আপডেট : ০৮ আগস্ট ২০২২, ০৯:১৯

স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে কর্মরত কক্সবাজারের সাংবাদিকদের জন্য আয়োজিত মানবিক সাংবাদিকতা বিষয়ক রিপোর্টিং প্রতিযোগিতায় পুরস্কার পেয়েছেন ৫ সাংবাদিক।

বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) কলাতলীর বিচ ওয়ে হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিজয়ী পাঁচ সাংবাদিককে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

বিজয়ীরা হলেন, দৈনিক আজাদীর আহমেদ গিয়াস, ইত্তেফাকের সায়ীদ আলমগীর, বাংলাদেশ পোস্টের সারোয়ার আজম মানিক, নাগরিক টিভির মনোতোষ বেদজ্ঞ এবং আজকের দেশ-বিদেশের দীপক শর্মা দীপু।

ইউএসএআইডি’র ‘জরুরী খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচি (ইএফএসপি)’র আওতায় এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে এক্সপোজার কমিউনিকেশন। এতে অংশ নেন মোট ২৪ জন সাংবাদিক। ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ রোহিঙ্গা ক্রাইসিস রেসপন্স (বিআরসিআর) ইএফএসপি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে।

বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার তুলে দেন বিআরসিআর’র রেসপন্স ডিরেক্টর ফ্রেডেরিক ক্রিস্টোফার, কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কালের কণ্ঠের বিশেষ প্রতিনিধি তোফায়েল আহমেদ, বাংলাদেশ পোস্টের নির্বাহী সম্পাদক শিয়াবুর রহমান (শিহাব) এবং ইএফএসপি’র চিফ অব পার্টি মো. রজব আলী।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ল্ড ভিশনের কর্মকর্তা মো. আব্দুল বারেক, ডিউক সব্যসাচী, জর্জ সরকার ও ডাক্তার কবীর উদ্দিন আহমেদ এবং এক্সপোজার কমিউনিকেশন ক্রিয়েটিভ ডিভিশনের প্রধান মাজেদ চৌধুরী।

‘জরুরী খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচি’র পাঁচটি কার্যক্রমের প্রত্যেকটির জন্য একজন বিজয়ী নির্বাচন করা হয়। কার্যক্রমগুলো হলো- কাজের বিনিময়ে অর্থ, জীবিকায়ন, আয়বর্ধন কার্যক্রম, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা রোধে পুরুষের সম্পৃক্ততা এবং পুষ্টি।

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকদের প্রথমে মানবিক সাংবাদিকতা বিষয়ক একদিনের প্রশিক্ষণের পর তথ্য সংগ্রহের জন্য তাদের প্রকল্প এলাকা সফরের ব্যবস্থা করা হয়।

পুরস্কার বিতরণীতে বক্তব্য প্রদানকালে তোফায়েল আহমেদ বলেন, পুরস্কার ভালো কাজের স্বীকৃতি। স্বীকৃতি মানুষকে আরও দায়িত্বশীল করে। তাই কক্সবাজারের সাংবাদিকের জন্য আরও বৃহৎ পরিসরে প্রশিক্ষণ এবং প্রতিযোগিতা আয়োজনে সরকার ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর (এনজিও) প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

ফ্রেডেরিক ক্রিস্টোফার বলেন, প্রতিযোগিতায় যে সব সাংবাদিক অংশ নিয়েছেন তাদের সৃষ্টিকর্ম ওয়ার্ল্ড ভিশন যেসব দেশে কাজ করে, সবখানে পৌঁছে গেছে। তিনি ভবিষ্যতে সাংবাদিকদের জন্য আরও প্রশিক্ষণের আয়োজনের ঘোষণা দেন।

উল্লেখ্য, গত ১৫ জানুয়ারি সাংবাদিকদের এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। এর পরেরদিন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্ম এলাকা পরিদর্শন শেষে প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ইত্তেফাক/এমআর