বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয়ের ব্যাখ্যা দিলো আওয়ামী লীগ

আপডেট : ০৬ আগস্ট ২০২২, ১৯:০০

বিপিসি’র ব্রেক ইভেন অর্থ আন্তর্জাতিক বাজারে যদি ডিজেল প্রতি ব্যারেল ৭৪.০৪ মার্কিন ডলার এবং অকটেন প্রতি ব্যারেল ৮৪.৮৪ ডলারে নেমে আসে তবে ডিজেল ও অকটেন প্রতি লিটার যথাক্রমে ৮০ টাকা ও ৮৯ টাকায় অর্থাৎ আগের (৫ আগস্ট ২০২২) মূল্যে বিক্রয় করা সম্ভব হতো যা এখন প্রায় অসম্ভব।

একইভাবে ক্রুড অয়েল এর মূল্য জুন মাসে ব্যারেল প্রতি ১১৭ মার্কিন ডলার অতিক্রম করে যা এখনও অব্যাহত আছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় যেতে বাধ্য হচ্ছে সরকার। 

২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে সরকার জ্বালানি তেলের মূল্য কমিয়ে দিয়েছিলো। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সে অনুযায়ী জ্বালানি তেলের মূল্য পুনঃ সমন্বয় করবে সরকার। 

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন বিগত ছয় মাসে (ফেব্রুয়ারি ২২ থেকে জুলাই ২০২২ পর্যন্ত) জ্বালানি তেল বিক্রয়ে ৮ হাজার ১৪.৫১ কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে।

অন্যান্য দেশ অনেক আগেই তাদের জ্বালানির দাম বাড়িয়েছে, আর বাংলাদেশ সরকার ভর্তুকি দিয়ে এসেছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার জন্যও অপেক্ষা করেছে। বর্তমানে, আন্তর্জাতিক তেলের বাজার পরিস্থিতির কারণে বিপিসির আমদানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে মূল্য সমন্বয় করতে বাধ্য হয়েছে সরকার। 

ভারত  ২২ মে ২০২২ তারিখ থেকে কলকাতায় ডিজেলের মূল্য প্রতি লিটার ৯২.৭৬ রুপি এবং পেট্রোল লিটার প্রতি ১০৬.০৩ রুপি নির্ধারণ করেছে। এই মূল্য বাংলাদেশী টাকায় যথাক্রমে ১১৪.০৯ টাকা এবং ১৩০.৪২ টাকা। (১ রুপি = গড় ১.২৩ টাকা)। 

বাংলাদেশে কলকাতার তুলনায় ডিজেলের মূল্য লিটার প্রতি ৩৪.০৯ এবং পেট্রোল লিটার প্রতি ৪৪.৪২ টাকা কমে বিক্রয় হচ্ছিল। মূল্য কম থাকায় তেল পাচার হওয়ার আশঙ্কা শতভাগ। 

এশিয়ার অন্যান্য দেশ যেমন- নেপালে ডিজেল ১২৭ টাকা, ইন্দোনেশিয়া ১৩৮, সিঙ্গাপুর ১৮৯ টাকা, চীন ১১৮ টাকা, আরব আমিরাত ১২২.৮০ টাকা ও হংকং এ ২৬০ টাকা। আমেরিকা ইউরোপেও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে জ্বালানি তেল। 

ইত্তেফাক/এমএএম