এশীয় ক্রেতাদের জন্য রেকর্ড মাত্রায় জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে সৌদি আরব। নতুন মূল্য আঞ্চলিক বেঞ্চমার্কের চেয়ে ৯ দশমিক ৮০ ডলার বেশি। সৌদির রাষ্ট্রায়ত্ত উৎপাদক আরামকো তাদের আরব লাইট গ্রেড ক্রুডের দাম বাড়িয়েছে।
ব্লুমবার্গের এক জরিপে জ্বালানির দাম দেড় ডলার বাড়ার সম্ভাবনার কথাও বলা হয়েছে। বিশ্বের শীর্ষ জ্বালানি তেল রফতানিকারক দেশ সৌদি আরবকে তেল উৎপাদন বাড়াতে ব্যাপক চাপ প্রয়োগ করছে যুক্তরাষ্ট্র।
সৌদি ও রাশিয়া নেতৃত্বে থাকা জ্বালানি তেল উৎপাদন ও রপ্তানিকারক ২৩ দেশের জোট ওপেক প্লাসের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ৩ আগস্ট। জোটের ভাষ্য, তারা পশ্চিমা চাপের মুখেও জ্বালানি পণ্য সরবরাহ বাড়িয়ে দর কমাতে চায় না। তার একদিন পরই এশিয়ার জন্য জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয় সৌদি আরব।
এদিকে, বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে তেলের দাম বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। শুক্রবার রাত ১২টার পর থেকে ডিপোর ৪০ কিলোমিটারের ভিতর ভোক্তা পর্যায়ে খুচরা প্রতি লিটার ডিজেলের মূল্য ১১৪ টাকা/ লিটার, কেরোসিন ১১৪ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা ও পেট্টোল ১৩০ টাকা হয়েছে।
দাম বাড়ানোর পরও জ্বালানিতে সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, কয়েক মাস আগে বিশ্ব বাজারে প্রতি ব্যারেল ডিজেলের মূল্য ছিলো ১৭০ মার্কিন ডলার। সেই সময় জ্বালানি মূল্য সমন্বয় করলে প্রতি লিটার ডিজেলের দাম হতো ১৬০ টাকা।
বর্তমানে সেই মূল্য কমে ১৩৯ মার্কিন ডলার হয়েছে। আমরা এখন সমন্বয় করেছি, যেন ১৬০ টাকা না হয়। এখনো বিপিসি’র ডিজেল আমদানির খরচ ১২২ টাকা লিটার। আর সেটা আমরা ১১৪ টাকায় বিক্রি করছি। এখনো লসেই জ্বালানি বিক্রি করছি আমরা।