চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল বিয়ে করেন বলিউডের তারকাজুটি রণবীর কাপুর ও আলিয়া ভাট। বিয়ের ঠিক আড়াই মাসের মাথায় দেন সুখবর। তারপর থেকেই তাদের নিয়ে চর্চা। মহেশ-কন্যার প্রতিটা লুক এখন খতিয়ে দেখছে নেটপাড়া। সবার নজর এখন বেবি বাম্পের খোঁজে।
‘ডার্লিংস’-এর প্রোমোশনে যে কটা পোশাক পরেছেন তাতে বেবি বাম্পের খোঁজ চলেছে। তবে এবার রাখঢাক সব শেষ। বরং শর্ট ড্রেসে মুম্বাইয়ের রাস্তায় হাজির হয়েছিলেন অভিনেত্রী শনিবার। সঙ্গে ছিলেন রণবীরও। ফুল হাতা নস্যি রঙের র্যাপ ড্রেস পরেছিলেন আলিয়া। আর যাতে স্পষ্ট চোখে পড়ছিল বেবিবাম্প।
ঢিলেঢালা পোশাক পরে বেবিবাম্প ঢাকার পথেই হাঁটেননি আলিয়া। যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই তিনি পাপারাৎজিদের ক্যামেরার সামনে পোজ দেন। এরপর ডেকে দেন রণবীরকে। কাপুর-নন্দনও ছবির জন্য পোজ দেন। এরপর ক্যামেরায় একসঙ্গে আসেন তারা।
প্রেগন্যান্সি নিয়ে চুটিয়ে কাজ করে চলেছেন আলিয়া ভাট। হলিউড ছবি ‘স্টোন অফ হার্ট’-এর শুট করেছেন। দেশে ফিরেই করেছেন ‘রকি অর রানি প্রেম কাহানি’র শুট। সঙ্গে চলেছে ‘ডার্লিংস’-এর প্রোমোশন। এরপর আবার শুরু করবেন ‘ব্রহ্মাস্ত্র’-র প্রচার, এই ছবিতেই প্রথমবার স্ক্রিনে একসঙ্গে দেখা যাবে রণবীর আর আলিয়াকে।
বলিউড পাড়ায় খবর, রণবীর আর আলিয়া যেতে পারেন একটা ভ্যাকেশনে। বিয়ের পর থেকেই একাধিক প্রোজেক্ট হাতে থাকায় সেভাবে ঘুরতে যাওয়ার সময়ই পাননি। এমনকী, আলাদা আলাদাই থাকতে হয়েছে বেশিরভাগ সময়টা। তাই একটা ছোট্ট ট্যুর তো বনতা হ্যায়!
আলিয়া প্রেগন্যান্সির খবর দেওয়ার পর থেকেই অনেকে ভেবেছিলেন হাতে থাকা ছবির কাজগুলো হয়তো তিনি শেষ করতে পারবেন না মা হওয়ার আগে। এই নিয়ে অনেক লেখালিখিও হয়েছিল।
আর এসবে বিরক্ত আলিয়া ইনস্টাগ্রামে ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছিলেন, ‘আমরা এখনও কিছু মানুষের মাথার মধ্যেই বাস করি। আসলে আমরা পিতৃতান্ত্রিক সমাজে আজও বসবাস করি। কোনওকিছুই পিছিয়ে যানি। কাউকে কেউ ফিরিয়ে নিয়ে যেতে আসছে না। আমি একজন নারী, কোনও পার্সেল নই। আমার বিশ্রামের প্রয়োজন নেই, তবে আপনাদের একজন চিকিৎসকের সার্টিফিকেটও আছে জেনে ভালো লাগল। এটা ২০২২ সাল। এই সেকেলে ধারণা থেকে দয়া করে বেরিয়ে আসুন। এবার যদি আপনারা আমাকে একটু এক্সকিউজ করেন। আমার শট রেডি আছে।’