রোববার, ০৪ জুন ২০২৩, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

সরকার দেশের মানুষের সর্বনাশ করে দিয়েছে: ফখরুল

আপডেট : ০৮ আগস্ট ২০২২, ০৮:৩৪

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মধ্যরাতে জ্বালানির দাম বাড়িয়ে সরকার দেশের মানুষের সর্বনাশ করে দিয়েছে। এ দেশের মানুষ আর এভাবে দেশ চালাতে দেবে না। শুক্রবার রাতে হঠাৎ করে জ্বালানি তেলের দাম এক লাফে ৪০-৫০ শতাংশ বাড়িয়ে দিয়ে দেশের সর্বনাশ করা হয়েছে। আজকে প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়বে। চাল, তেল, সারের দাম বাড়বে। যাতায়াত খরচ বেড়ে যাবে। সবকিছু বাড়বে। অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে, আরও খারাপের দিকে যাবে। কেন বাড়ালেন? বলা হচ্ছে যে পেট্রোলিয়াম করপোরেশন লোকসান করছে। লোকসান কেন যাবে? পাঁচ বছর আগে প্রায় ৩৯ হাজার কোটি টাকা লাভ করেছে, তখন আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কম ছিল। তখন আপনারা কমাননি। এখনো কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমতে শুরু করেছে।

আমাদের হাছান মাহমুদ সাহেব বললেন, বিশ্বের সব দেশে নাকি তেলের দাম এর চেয়ে বেশি। আমেরিকায় ১৪ ডলার ছিল, তেলের দাম কমার সঙ্গে সঙ্গে তা তিন ডলারে পৌঁছেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে যখন তেলের দাম কমে, তখন তারাও কমায় আর আমাদের দেশে তখন বাড়ানো হয়। কারণ তারা যে লুটপাট করে, তারা যে চুরি করে, সেই টাকা হালাল করার জন্য জনগণের পকেট থেকে কেটে নিয়ে যায়।

ছাত্রদলের নেতা নূরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আবদুর রহিমকে হত্যা এবং জ্বালানি তেল ও সারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে গতকাল রবিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্যসচিব রফিকুল আলম, জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি আলহাজ সুলতান সালাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েম মুন্না, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।

গত ৩১ জুলাই ভোলায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে নিহত আবদুর রহিম ও নূরে আলমকে গুলি করায় এর জন্য দায়ী পুলিশ কর্মকর্তাকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার এবং এ ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ভোলা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আরমান গুলি করেছেন। কী অবস্থা ঘটেছিল যে আপনি তাঁকে গুলি করলেন? আবদুর রহিম সঙ্গে সঙ্গেই মারা গেছেন। আর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলমের মাথায় ১৬টা স্প্লিন্টার ঢুকেছে। তিন দিন লড়াই করে তিনিও চলে গেছেন। আরও ১৯ জন হাসপাতালে আছেন।

ইত্তেফাক/এমআর