কলকাতা বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা সৌরভ দাস। পর্দার বাইরেও তিনি দুরন্ত। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন দুষ্টু সভাবের। সে কারণে অনেক সময় তার পরিবারকে ফ্যাসাদে পাড়তে হয়েছিলো। এমনকি স্কুল আর তাকে রাখতে রাজি ছিলো না। সে কথা মনে করলে মা অজন্তা দাস এখনও আঁতকে ওঠেন!
অজন্তার এক ছেলে, এক মেয়ে। মেয়ে বরাবর শান্ত, লেখাপড়ায় তুখোড়। আর ছেলে অর্থাৎ সৌরভ? সে কথা বলতে গিয়েই তাঁর হৃদ্স্পন্দন বেড়ে দ্বিগুণ।
মায়ের কথায়, ‘সৌরভ পড়তে ভালবাসত না। ফলে, যতক্ষণ হাতে বই তত ক্ষণ সে দিকে চোখ দিয়ে বসে থাকতে হত। তার মধ্যেই ফাঁক পেলে অনবরত খেলা।’
এভাবে ক্রমে অভিনেতা নবম শ্রেণিতে। তখনই অঘটন। শহরের প্রথম সারির স্কুলের অধ্যক্ষ সরাসরি ডেকে পাঠালেন তার বাবাকে। অভিযোগ, দুষ্টু বুদ্ধি জুগিয়ে বাকি ছাত্রদের নাকি ‘নষ্ট’ করে দিচ্ছেন সৌরভ! স্কুল আর এই ছাত্রকে রাখতে রাজি নয়।
তিনি বলেন, ‘রেলের ডাকসাইটে অফিসার সে দিন ছেলের জন্য অধ্যক্ষের পা ধরতে বাধ্য হয়েছিলেন! স্কুল মুখ ফিরিয়ে নিলে তো ছেলের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।’
সেসব দিন অতীত। ভাল অভিনেতা হিসেবে সৌরভের নামডাকও যথেষ্ট। স্কুলেরও তাই এখন সুর বদলেছে।
কর্তৃপক্ষের দাবি, সে দিনের ‘বিচ্ছু’ এখন স্কুলের গর্ব! তাকে সংবর্ধনা দেওয়ার কথাও তাই ভাবা হচ্ছে। সূত্র: আনন্দবাজার।