স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, দেশের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে দাবি করে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, এখন গ্রামগঞ্জের কোনো মানুষ আর না খেয়ে নেই। প্রত্যেক মানুষ খেতে পারছে। প্রত্যেক মানুষের গায়ে জামাকাপড় আছে। আমি মনে করি না, আমরা খুব খারাপ অবস্থায় আছি।
বুধবার (১০ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘নিত্যপণ্য ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি: জনজীবনের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। এ সংলাপের আয়োজন করে নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম, বাংলাদেশ।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, গ্রামের প্রায় সব রাস্তাঘাটই পাকা হয়ে গেছে। প্রত্যেক গ্রামে প্রাইমারি স্কুল করা হয়েছে, ঘর না থাকলে ঘর করে দেওয়া হচ্ছে। আমি মনে করি না আমরা খুব খারাপ অবস্থায় আছি। ভ্রান্ত ধারণা থেকে আমাদের বের হতে হবে।
তিনি বলেন, জার্মানির বহু শপিংমলে জিনিসপত্র নেই। কেউ ধারণা করে বলতে পারে না পৃথিবীর অবস্থা কোথায় যাবে। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকসহ অনেকেই আমাদের এখানে অর্থায়ন করতে চায়, দেশের অবস্থা এত খারাপ হলে তাদের তো মাথা খারাপ হয়নি আমাকে টাকা দিতে। বিশ্বব্যাংক এসে ঘুরছে, বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করছে। ভয়ের কোনো কারণ নেই, আগাম কিছু আমি বলতে পারি না।
তাজুল ইসলাম বলেন, চলমান করোনার মধ্যে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হয়েছে, সেখানে নিশ্চয়ই বাংলাদেশের হাত নেই। এই যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্বেই এখন টালমাটাল অবস্থা। অর্থনীতি, সামাজিক অবস্থা এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ সবকিছু নিয়ে সবাই আতঙ্কিত। এখন তাইওয়ানের সঙ্গে চায়নার উত্তপ্ত পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে। সেটির প্রভাব কিন্তু সারাবিশ্বে পড়বে।
নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি অমিতোষ পালের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক সোহেল মামুনের সঞ্চালনায় সংলাপে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি হিসাবে গোলাম রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুমানা হক, ঢাবির উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক রিয়াজুল হক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।