পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে বঙ্গোপসাগরে তিনটি জেলে ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। ঢেউয়ের কবলে পড়ে ৩৩ মাঝিমাল্লা নিয়ে ডুবে যায় ট্রলারটি। মঙ্গলবার রাতে সাগরে এ ট্রলার ডুবির পর ৩১ জেলেকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তবে বুধবার সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত বাকি দুই জেলের সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে।
উদ্ধার হওয়া জেলেদের কাছ থেকে নিখোঁজ হওয়া দুই জেলের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন-গলাচিপা উপজেলার গজালিয়া গ্রামের আফসার মোল্লার ছেলে সিদ্দিক মোল্লা (৫০) ও রাঙ্গাবালীর উপজেলার মৌডুবি ইউনিয়নের মাঝিকান্দা গ্রামের মনতাজ মুন্সির ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৬০)।
জেলেরা জানায়, সোমবার রাতে বঙ্গোপসাগরে হঠাৎ ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে প্রচণ্ড ঢেউ শুরু হয়। এ সময় পায়রা সমুদ্রবন্দর সংলগ্ন কুয়াকাটা থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে গভীর সাগরে মাছ শিকারে যাওয়া রাঙ্গাবালীর মৌডুবি ইউনিয়নের কাজিকান্দা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মালিকানাধীন ট্রলারের ৮জন, একই গ্রামের ইলিয়াস গাজীর মালিকানাধীন ট্রলারের ১৩ জন এবং বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের হালিমচর গ্রামের মো. আলী হোসেনের মালিকানাধীন ট্রলারের ১২জন মাঝিমাল্লা নিয়ে ট্রলার তিনটি ডুবে যায়। তাদের মধ্যে ৩১ জনকে অক্ষত অবস্থায় মঙ্গলবার উদ্ধার করা হয়। কিন্তু আলী হোসেনের ট্রলারের জেলে সিদ্দিক এবং আনোয়ারের ট্রলারের জেলে সিরাজুলের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
এসব বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করেন ডুবে যাওয়া ট্রলার মালিক ইলিয়াস গাজী ও মো. আলী হোসেনের ডুবে যাওয়া ট্রলার থেকে উদ্ধার হওয়া মাঝি কাওসার। তারা জানান, বুধবার বিকেল পর্যন্ত ডুবে যাওয়া তিন ট্রলার এবং নিখোঁজ দুই জেলের খোঁজ মেলেনি।
এ ব্যাপারে রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল ইসলাম মজুমদার জানান, রাঙ্গাবালীর আনোয়ার এবং ইলিয়াস গাজীর দুইটি ট্রলার ডুবির ঘটনা জানতে পেরেছি। এরমধ্যে আনোয়ারের ট্রলারের এক জেলে সিরাজুল নিখোঁজ রয়েছে। এ বিষয়ে একটি জিডি করা হয়েছে। এছাড়া আরও একটি ট্রলার ডুবির কথা শুনেছি। তারা মহিপুর থানা গেছে।
কোস্টগার্ড নিখোঁজ জেলে উদ্ধারের চেষ্টা করছে বলে জানান তিনি।