দেশের ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের করোনার টিকাদান কর্মসূচি চালুতে সহায়তা করছে যুক্তরাষ্ট্র। শিশুদের জন্য ফাইজারের এ টিকা অনুদান দেয় যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) শিশুদের টিকাদানের জাতীয় প্রচারাভিযান কার্যক্রমের উদ্বোধনীতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে যোগ দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এই উপলক্ষে আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি শিশুদের প্রথম দলটিকে কোভিড-১৯ টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউনিসেফের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ শেলডন ইয়েট, বাংলাদেশ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা।
পিটার হাস বলেন, ‘এটি শিশুদের জন্য, মা-বাবার জন্য এবং পুরো দেশের জন্য একটি অসাধারণ পদক্ষেপ। আমরা আশা করি এই টিকাদানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ছোট শিশুরা আরও ভালোভাবে তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারবে। যা তাদেরকে লেখাপড়াকে চালিয়ে যেতে ও নিজেদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে এগিয়ে যেতে সহায়তা করবে।’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি শিশুদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা ফাইজারের কোভিড-১৯ টিকার ৩০ লাখেরও বেশি ডোজ বাংলাদেশকে অনুদান দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মোট ৪ কোটিরও বেশি ডোজ টিকা অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দেশটি। শিশুদের কোভিড-১৯ টিকাদানের নতুন এই কর্মসূচিতে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া সহায়তার মধ্যে ৭.৩ মিলিয়ন ডলার বা ৭৩ কোটিরও বেশি টাকা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই সহায়তা কোভ্যাক্স থেকে দেওয়া অন্যান্য সহায়তার পাশাপাশি দেওয়া হবে।