বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

প্রকৃত উপকারভোগীর ৩৯.৫ শতাংশ ফ্যামিলি কার্ড পাননি: টিসিবি

আপডেট : ১১ আগস্ট ২০২২, ১৮:৩৭

স্বচ্ছতার ঘাটতি, অনিয়ম-দুর্নীতির ফলে প্রকৃত উপকারভোগীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড কার্যক্রম থেকে বাদ পড়েছে বলে দাবি করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। 

‘টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড কার্যক্রমে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ’শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করে সংস্থাটি।  
প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উভয় উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে মিশ্র পদ্ধতিতে গবেষণাটি পরিচালনা করা হয়। এ বছরের এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত গবেষণার তথ্য সংগ্রহ এবং ১৮-২৬ এপ্রিল একটি জরিপ করা হয়। জরিপে ৩৫টি জেলা থেকে ৩০-৩৫ জন করে মোট ১ হাজার ৪৭ জন উপকারভোগী অংশগ্রহণ করেন।  

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, উপদেষ্টা-নির্বাহী ব্যবস্থাপনা অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের, গবেষণা ও পলিসি বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল হাসান।

টিআইবির গবেষণা ও পলিসি বিভাগের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো শাহজাদা এম আকরামের তত্ত্বাবধানে প্রণীত গবেষণাটি উপস্থাপন করেন একই বিভাগের রিসার্চ ফেলো মোহাম্মদ নূরে আলম এবং রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট মুহা. নূরুজ্জামান ফরহাদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক শেখ মনজুর-ই-আলম।

২০২২ সালের মার্চ-এপ্রিল মাসে নিম্ন আয়ের এক কোটি পরিবারকে টিসিবির ‘ফ্যামিলি কার্ড’ প্রদানের মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য সরবরাহ কর্মসূচি গ্রহণ করে সরকার। উপকারভোগী তালিকায় করোনাকালে ২ হাজার ৫০০ টাকা নগদ সহায়তা’কর্মসূচির আওতাভুক্ত ৩৮ লাখ ৫০ হাজার উপকারভোগীদের সবাইকে রেখে নতুন করে ৬১ লাখ ৫০ হাজার জনকে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। জরিপে প্রাপ্ত তথ্যের বিশ্লেষণ অনুযায়ী ইতোপূর্বে ২ হাজার ৫০০ টাকা নগদ সহায়তাপ্রাপ্তদের ৩৯.৫ শতাংশ ফ্যামিলি কার্ড পাননি। এর মধ্যে ৮০.৪ শতাংশ সম্ভাব্য উপকারভোগীকে বাদ দেওয়া হয়।

জরিপে মোট অংশগ্রহণকারী নারীদের ৩৪ দশমিক ৪ দশমিক এবং পুরুষদের মোট ৩১ দশমিক ৪ শতাংশ উপকারভোগী অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে ফ্যামিলি কার্ড পাননি বলে অভিযোগ করেন। এছাড়া তালিকা থেকে বাদ পড়ার অন্যান্য কারণ হিসেবে রাজনৈতিক বিবেচনায় সচ্ছল ব্যক্তিদের তালিকাভুক্তি, একই পরিবারে একাধিক কার্ড প্রদান, ছবি পরিবর্তন করে তালিকাভুক্তদের কার্ড অন্যদের দিয়ে দেওয়া, ঘুষ না দেওয়ার কারণে বাদ দেওয়া ইত্যাদি বিষয়গুলো তুলে ধরেন উত্তরদাতারা।  

জরিপে উত্তরদাতাদের ৫১ দশমিক ৩ শতাংশ মনে করেন তালিকা প্রণয়নের সময় যোগ্য-হতদরিদ্র ব্যক্তিদেরকে বাদ দিয়ে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক সচ্ছল ও রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ ও তাদের আত্মীয়-স্বজনদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

 

ইত্তেফাক/ইউবি