আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান বলেছেন, ‘সিগারেট স্বাস্থ্যের জন্য সত্যিই ক্ষতিকর’ এটা যদি আমরা মানুষকে উপলব্ধি করাতে পারি, তাহলে সিগারেটের ব্যবহার অনেকটা কমবে। ধূমপান করলে স্বাস্থ্যের সঙ্গে সম্মানহানিও হয়।
রবিবার (১৪ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ডেভেলপমেন্ট অ্যাক্টিভিটিস অব সোসাইটি (ডাস) আয়োজিত ‘গণপরিবহনে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, সিগারেট থাকলে স্বাস্থ্যের সঙ্গে সম্মানহানিও হয়। আগে বাসে বসে ধূমপান করা হতো। মানুষের সচেতনতার সঙ্গে সঙ্গে সেই ধূমপানের পরিমাণ এখন একেবারেই কমে গেছে। বাসচালক-হেলপারদের যাত্রা শুরু করার আগে যাত্রীদের উদ্দেশে বলা উচিত, আপনারা কেউ বাসে ধূমপান করবেন না।
শাজাহান খান বলেন, শুধু গণপরিবহন নয়, সারা দেশে তামাকবিরোধী একটা আন্দোলনের কথা মানুষ কিন্তু বলে। এই আন্দোলন সত্যিই হওয়া দরকার। তামাক এমন একটা জিনিস এবং সেটির গায়ে পর্যন্ত লেখা থাকে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তার পরেও মানুষ খায়। আগে টেলিভিশনে সিগারেটের বিজ্ঞাপন থাকত, সেটি এখন বন্ধ করা হয়েছে এটি ভালো উদ্যোগ।
আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক ও পুলিশকে আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানিয়ে শাজাহান খান বলেন, ‘সরকার খুব ভালো ভালো আইন করে। কিন্তু বাস্তবায়নটা যাঁরা করেন, তাঁদের হয় আন্তরিকতার অভাব অথবা অবহেলার কারণে বাস্তবিক আইন প্রণয়ন হয় না। একটা আইন আমি কতটুকু কার্যকর করব এবং সেটা যদি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হয় তার জন্য প্রয়োজন আন্তরিকতা।
সভায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন করা জরুরি। শিক্ষক ধূমপান করছে এটা দেখলে ছাত্ররা ধূমপান করতে উৎসাহিত হয়। রাজধানীর আলালের ঘরের দুলালেরা বাড়ির ছাদে তামাক দ্রব্য চাষ করে। তাদের বাবা-মা দেখে না? কোম্পানিগুলো লাইসেন্স নিয়ে সারা দেশে সিগারেট বিক্রি করছে। কিন্তু যারা খুচরা বিক্রি করছে তাদের কোনো লাইসেন্স নেই। সড়ক পরিবহন আইনে রাস্তাঘাটে ধূমপান করা মানা। যেই গাড়িতে করা হবে সেই গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা করার আইনও আছে। তামাক নিয়ন্ত্রণ এক জায়গায় করলে হবে না, সর্বস্তরে আলোচনা করে সমাধান করতে হবে।