১৯৭৩ সালে আইটিইউ-এর সদস্যপদ গ্রহণ এবং ৭৫ সালে বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ উদ্বোধনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রযুক্তিনির্ভর বাংলাদেশের সূচনা করেছিলেন বলে জানান ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, শেখ মুজিব হচ্ছেন একমাত্র নেতা, যিনিই বাঙালির একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হতে পারে সেটি চিন্তা করতে পেরেছিলেন। এরপর তিনি বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, যা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থেকে এসে করতে পারা অকল্পনীয় ছিল।
সোমবার (১৫ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বেসিস মিলনায়তনে আয়োজিত দোয়া ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদের সভাপতিত্বে সভাটি সঞ্চালনা করেন বেসিসের সহ-সভাপতি (প্রশাসন) আবু দাউদ খান।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঘর থেকে যাতে নেতৃত্ব না আসে সেজন্য ১৫ আগস্ট প্রায় পুরো পরিবারকে হত্যা করা হয়। কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছায় শেখ হাসিনা দীর্ঘ সংগ্রাম শেষে বাংলাদেশের হাল ধরেছেন। বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যা করেছেন তা অকল্পনীয়। আমাদের উচিত তাকে সহায়তা ও সহযোগিতা করা।
তিনি উল্লেখ করেন, ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জামিলুর রেজা চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছিলেন। এই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ীই ১৯৯৭ সালে বেসিস গঠিত হয়। বেসিস এখন এমন একটি সংগঠনে পরিণত হয়েছে, যা আমাদের জন্য গৌরবের।
বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের আত্মত্যাগকে সম্মান, মর্যাদা ও ভাব গাম্ভীর্যের সঙ্গে আমাদের স্মরণ করা উচিত। বঙ্গবন্ধুর জীবন-দর্শন, নীতি, আদর্শ, কর্ম ও নেতৃত্বের বহুমাত্রিক গুণাবলি আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মসহ সকলের জানা উচিত। ব্যক্তিগত, প্রাতিষ্ঠানিক এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোর মাধ্যমে এসব গুণাবলি ছড়িয়ে দিতে পারলে দেশের ১৬ কোটি মানুষের যদি এক শতাংশও সেগুলো ধারণ করতে পারে তাহলেই বাংলাদেশ বদলে যাবে।
আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বেসিসের পরিচালক একেএম আহমেদুল ইসলাম বাবু, মুশফিকুর রহমান, বেসিস উপদেষ্টা কমিটির সহ-সভাপতি শাহ ইমরাউল কায়ীশ, উত্তম কুমার পাল, বেসিসের নির্বাহী পরিচালক আবু ঈসা মো. মাঈনুদ্দিন, সচিব হাশিম আহম্মদ, বেসিস স্থায়ী কমিটির নেতৃবৃন্দসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বেসিস সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া জুম ও ফেসবুক লাইভেও অনেকেই অংশ নেন।