শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

আব্বাসের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা 

আপডেট : ১৮ আগস্ট ২০২২, ১৭:৪৯

বুধবার বার্লিন সফরকালে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের উপর ‘হলোকাস্ট’ চালানোর অভিযোগ করে জোরালো সমালোচনার মুখে পড়েছেন। জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসও প্রতিক্রিয়া জানাতে কিছুটা বিলম্ব করায় সমালোচনার পাত্র হয়েছেন। কিন্তু সরকারি মুখপাত্র স্টেফেন হেবেস্ট্রাইট এমন বিলম্বের কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন, সংবাদ সম্মেলন আচমকা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। চ্যান্সেলর দ্বিতীয় বার হস্তক্ষেপ করতে না পেরে এবং সরাসরি আব্বাসের আক্রমণাত্মক বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া দেখাতে না পেরে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। হেবেস্ট্রাইট নিজের বিহ্বলতা সম্পর্কেও আক্ষেপ জানিয়ে বলেন, ‘‘আমি যথেষ্ট দ্রুত ও মনোযোগ দিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারি নি। সেটা আমার ভুল।’’ 

প্রাথমিক বিহ্বলতা ঝেড়ে ফেলে আরও অনেক মহল থেকে আব্বাসের বক্তব্যের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। জার্মান প্রেসিডেন্ট ফ্রাংক-ভাল্টার স্টাইনমায়ার ‘বিল্ড’ সংবাদপত্রকে বলেন, আব্বাসের তুলনা ‘‘সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য এবং বিশেষ করে আমাদের দেশের রাজধানী বার্লিনে এমনটা বলায় বিষয়টি আরও বেদনাদায়ক।’’ সাবেক জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলও এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট আব্বাসের বক্তব্যের সমালোচনা করেন।   ইসরায়েলে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত স্টেফেন সাইবার্ট বলেন, আব্বাসের বক্তব্য ‘ভুল এবং একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়’। এক টুইট বার্তায় তিনি লেখেন, ‘‘জার্মানি কখনো হলোকাস্টের অতুলনীয় মাত্রা অস্বীকার করার চেষ্টার পক্ষে দাঁড়াবে না।’’ 

ইউরোপীয় ইউনিয়নে ইহুদি-বিদ্বেষ মোকাবিলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিশনর মার্গারিটিস শিনাস এক টুইট বার্তায় হলোকাস্ট বা ইহুদি নিধন যজ্ঞকে ইউরোপের ইতিহাসে এমন এক কলঙ্ক, যা কখনো মুছে ফেলা যায় না। তাঁর মতে, ‘‘হলোকাস্টের বিকৃতি বিপজ্জনক। এমন প্রচেষ্টা ইহুদি বিদ্বেষে ইন্ধন জোগায় এবং গণতন্ত্রের ক্ষয় ঘটানোর মতো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।’’

পরিস্থিতি সামাল দিতে জার্মান চ্যান্সেলর শলৎস বৃহস্পতিবারই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ইয়াইর লাপিদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলবেন বলে জার্মানির জেডডিএফ টেলিভিশন দাবি করছে।   

জোরালো প্রতিক্রিয়ার মুখে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস মঙ্গলবার বার্লিনে নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা করে বলেন, হলোকাস্টের স্বতন্ত্রতা অস্বীকার করার কোনো ইচ্ছা তাঁর ছিল না। তিনি শুধু ১৯৪৮ সাল থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি অপরাধ ও গণহত্যার বিষয়টি তুলে ধরতে চেয়েছিলেন। 

ইত্তেফাক/এসআর