বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, ‘বিএনপির তথাকথিত আন্দোলনের সঙ্গে দেশের মানুষের কোনো সম্পর্ক নেই। তাদের আন্দোলন তাদের ব্যক্তিগত। তাদের দুর্নীতিবাজ নেতা সম্পদ লুণ্ঠনের অভিযোগে দণ্ডপ্রাপ্ত। হত্যা, খুন, সন্ত্রাসের অভিযোগে অভিযুক্ত এবং পলাতক। এই পলাতক নেতার জন্য দেশের মানুষ তো বিপদে পড়তে পারে না।’
বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগ কর্তৃক আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদানের পূর্বে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
হানিফ বলেন, ‘এখন তারা লন্ডনে বসে বলে টেক ব্যাক বাংলাদেশ। তারা বাংলাদেশকে কোথায় নিয়ে যেতে চায়। তাদের সময়ে বাংলাদেশকে যে তালেবান রাষ্ট্র বানাতে চেয়েছিল, সেই তালেবান রাষ্ট্র বানাবে? বাংলাদেশকে কি আফগানিস্তান বানাতে চায়?’
এই নেতা আরও বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে বলছি, বিএনপি জামাতের অপতৎপরতা বাংলাদেশে কখনো সফলতা লাভ করবে না। তাদের ষড়যন্ত্র হচ্ছে দেশের মধ্যে নানা ধরনের অপপ্রচার করে বিশৃঙ্খলা করে মানুষকে বিভ্রান্ত করা। আর বিদেশিদের কাছে ধন্না দিয়ে সরকারের পতন ঘটানো যায় কি না সেটাই তাদের স্বপ্ন। বিএনপির কোনো ষড়যন্ত্র সফল হবে না। এটা তাদের দুঃস্বপ্নই রয়ে যাবে।’
মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের শেকড় অনেক গভীরে। আওয়ামী লীগের পায়ের তলায় মাটি না থাকলে দেশের নিচেই মাটি নেই। বিএনপির পায়ের তলায় মাটি ছিল না বলেই তারা এখন রাজপথে কান্নাকাটি করে বেড়াচ্ছে। বিদেশিদের কাছে চোখের পানি, নাকের পানি ঝড়িয়ে বেড়াচ্ছে। তারা মিথ্যাচার করে সাময়িক তৃপ্তি পাচ্ছে, তাদের নেতাকর্মীদের পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করছে।’
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাতের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কুষ্টিয়া ৩ আসনের এমপি মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ‘দেশ স্বাধীন করার পর বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে ৩ বছর সময় পেয়েছিলেন। এই সাড়ে ৩ বছরে বঙ্গবন্ধু শূন্য হাতে একটা যুদ্ধবিধ্বস্ত পোড়ামাটির ভূখণ্ডকে নতুন করে সাজিয়েছিলেন।’
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ইবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম, কুষ্টিয়া ৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহবুবুর রহমান ও কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া। এছাড়া আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. সেলিম তোহা।