শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

কমিশন বৃদ্ধিসহ ৩ দফা দাবিতে ডিপো থেকে তেল উত্তোলন বন্ধ

আপডেট : ২২ আগস্ট ২০২২, ০৯:৩৩

জ্বালানি তেলের কমিশন বৃদ্ধিসহ ৩ দফা দাবিতে প্রতীকী ধর্মঘট পালন করছে পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতি। সোমবার (২২ আগস্ট) ভোর ৬টা থেকে খুলনার পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা ডিপো থেকে তেল উত্তোলন বন্ধ রেখে এ ধর্মঘট শুরু হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টা এ প্রতীকী ধর্মঘট চলবে।

ধর্মঘট পালনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির নেতা মো. ফরহাদ হোসেন। এই ধর্মঘটের কারণে খুলনা বিভাগের ১০ জেলা ও বৃহত্তর ফরিদপুরের পাঁচ জেলায় জ্বালানি তেল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। জেলাগুলো হচ্ছে, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা, নড়াইল, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জ। 

এদিকে, বেসরকারি পাম্পগুলো থেকে জ্বালানি তেল বিক্রি অব্যাহত রয়েছে। এতথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ জ্বালানি পরিবেশক সমিতির খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের অফিস সেক্রেটারি সরোজ দাস পিন্টু।

সংশ্লিষ্টরা জানান, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স, ডিস্ট্রিবিউটর্স, এজেন্টস অ্যান্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ডাকে ১২ ঘণ্টার প্রতীকী ধর্মঘট পালন করা হচ্ছে। তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- বর্তমান জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে আনুপাতিক হারে জ্বালানি তেল বিক্রয় কমিশন বৃদ্ধি, অয়েল ডিপো থেকে ৪০ কিলোমিটারের বাইরে ট্যাংকলরি ভাড়া বৃদ্ধি এবং পেট্রোল পাম্পের ওপর আরোপিত বিভিন্ন সংস্থার লাইসেন্স প্রথা বাতিল করা। কর্মসূচি চলাকালে দাবি বাস্তবায়ন না করা হলে পরবর্তী সময়ে দেশব্যাপী এই আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির পক্ষ থেকে।

এদিকে, বাংলাদেশ জ্বালানি পরিবেশক সমিতির খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের অফিস সেক্রেটারি সরোজ দাস পিন্টু বলেন, ‘বেসরকারি পাম্পগুলো থেকে জ্বালানি তেল বিক্রি অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স, ডিস্ট্রিবিউটর্স, এজেন্টস অ্যান্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্র থেকে এ প্রতীকী ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। তবে তেল পরিবেশনের সঙ্গে সম্পৃক্ত অন্যান্য অ্যাসোসিয়েশন এর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে।’

সংশ্লিষ্টরা জানান, বর্তমানে প্রতি লিটার জ্বালানি তেলের মূল্যের (পূর্ব মূল্য) ২ দশমিক ৭১ টাকা কমিশন দেওয়া হয়। অতীতে কমিশন বৃদ্ধির জন্য সংশ্লিষ্ট দফতর বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনে (বিপিসি) একাধিকবার আবেদন করেও কোনো ফলাফল পায়নি। জ্বালানি তেলের মূল্য বর্তমানে অনেক বৃদ্ধি পেলেও তাদের কমিশনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়নি। এ অবস্থায় কমিশন প্রতি লিটার জ্বালানি তেলের বর্তমান মূল্যের ৭ দশমিক ৫ শতাংশহারে প্রদানের দাবি জানান তারা। আরও জানান, দাবি পূরণ না হলে আগামীতে কঠোর ও কঠিন কর্মসূচি দেওয়া হবে।

এর আগে একই দাবিতে গত ৭ আগস্ট সকাল ৮টা থেকে ২৪ ঘণ্টার জন্য ধর্মঘট শুরু করেছিল বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও জ্বালানি তেল পাম্প মালিক সমিতি। তবে ৯ ঘণ্টা ধর্মঘট পালনের পর প্রশাসনের আশ্বাসে স্থগিত করা হয়েছিল সেই ধর্মঘট। কিন্তু দাবি পূরণ না হওয়ায় আবারও ধর্মঘট শুরু করেছে তারা।

ইত্তেফাক/মাহি