স্বাস্থ্য অধিদফতর ডেঙ্গু রোগীর পূর্ণাঙ্গ তথ্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনকে দিচ্ছে না, ফলে মশার বিস্তার দমন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার (৩১ আগস্ট) রাজধানীর আজিমপুরে একটি পথচারী পারাপার সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে তিনি বলেন, “আমরা যে প্রতিবন্ধকতা বা প্রতিকূলতা লক্ষ্য করি, সেটা স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আমরা এখন পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাইনি। এ জন্য আমাদের অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। আমাদের অন্যান্য জায়গা থেকে এ তথ্য সংগ্রহ করতে হয়। আমাদের তো দৈনন্দিন ভিত্তিতে কাজ করতে হয়; সুতরাং সকাল থেকে এ তথ্য না পাওয়ার কারণে আমাদের কার্যক্রম চালাতে কষ্ট করতে হয়, ভোগান্তি হয় ও বিলম্ব হয়।”
তিনি দাবি করেন এবার ঢাকা শহরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা গতবছরের তুলনায় অর্ধেক। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, গত ২৯ আগস্ট সকাল ৮টা থেকে ৩০ আগস্ট সকাল ৮টা পর্যন্ত মোট ১৯৬ নতুন ডেঙ্গু রোগী ঢাকার বিভিন্ন হাসাপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
মেয়র বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বলে আসছি, এটা আন্তঃমন্ত্রণালয়েরও সিদ্ধান্ত যে, স্বাস্থ্য অধিদফতরকে আমাদের পূর্ণাঙ্গ তথ্য দিতে হবে। ডেঙ্গু রোগীর প্রাদুর্ভাব কমানো ও বিস্তার রোধের জন্য বিশ্বব্যাপী যেটা স্বীকৃত— এডিস মশার উৎস কমিয়ে ফেলা বা ধ্বংস, কিন্তু উৎসের তথ্য যদি আমি না পাই তাহলে ধ্বংস করবো কীভাবে। এ জন্য তথ্যটি দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তাই আমি আবারও স্বাস্থ্য অধিদফতরকে তারা যেন আমাদের পূর্ণাঙ্গ তথ্য দিয়ে সহায়তা করেন।’
তিনি দাবি করেন, ‘ডেঙ্গু বৃদ্ধির যে গতি আমরা দেখছি, এটা থাকলে আমরা ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব ও এডিস মশার বিস্তারকে রোধ করতে পারবো।’
তিনি বলেন, আমরা রাজধানীবাসীর জন্য যে সময়সূচি নির্ধারণ করে দিয়েছি, তা খুবই সমাদৃত হয়েছে। তারা উপলব্ধি করতে পেরেছে এই শহরেরও বিশ্রামের প্রয়োজন আছে। যেকোনো কিছুরই সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন আছে। সে জন্যই আমরা রাত ৮টার মধ্যে বেশির ভাগ দোকানপাট বন্ধের সিদ্ধান্ত দিয়েছি।
তাপস বলেন, পূর্বে সবার ইচ্ছামতো দোকানপাট বন্ধ করত, এ কারণে ব্যস্ততায় ঢাকাবাসী তাদের পরিবার-পরিজনকে সময় দিতে পারত না। এখন নির্দিষ্ট সময় দোকানপাট ও প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ায় ঢাকাবাসী তাদের পরিবারকে সুন্দর সময় উপহার দিতে পারবে।
মেয়র তাপস বলেন, রাত ৮টার মধ্যে বেশির ভাগ দোকানপাট বন্ধ হয়ে যাবে। আর অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য আমরা আলাদা আলাদা সময়সূচি নির্ধারণ করে দিয়েছি। তবে হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট যেসব ওষুধের দোকান নিয়ে কথা হচ্ছে, তা আমরা পর্যালোচনা করব। আবেদনের প্রেক্ষিতে ও প্রয়োজনীয়তা অনুসারে এসব ওষুধের দোকানের সময়সীমা পর্যালোচনা ও পুনর্বিবেচনা করা যেতে পারে।