গত বছরের ১৯ মার্চ বাংলাদেশে মুক্তি পেয়েছিল জয়া আহসান অভিনীত সর্বশেষ সিনেমা ‘অলাতচক্র’। এরপর অতনু ঘোষ পরিচালিত ‘বিনিসুতোয়’ ও সায়ন্তন মুখার্জি পরিচালিত ‘ঝরা পালক’ কলকাতায় মুক্তি পায়। আবারও দেশের পর্দায় দেখা দেবেন জয়াকে। ‘বিউটি সার্কাস’-এ ভর করে তিনি দেখাবেন আবহমান বাংলার সংস্কৃতি ও জীবনবৈচিত্রের চিত্র।
অবশেষে চূড়ান্ত হলো বহুল প্রতীক্ষিত চলচ্চিত্র ‘বিউটি সার্কাস’-এর মুক্তির দিন। আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে চলচ্চিত্রটি।
বাংলাদেশ সরকারের অনুদানপ্রাপ্ত ইমপ্রেস টেলিফিল্ম প্রযোজিত চলচ্চিত্রটির মুক্তির তারিখ নিশ্চিত করলেন পরিচালক মাহমুদ দিদার।
৩১ আগস্ট রাতে মাননীয় তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এমপির হাতে চলচ্চিত্রটির পোস্টার তুলে দেওয়ার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে চলচ্চিত্রের প্রচারণা শুরু করেন এর নির্মাতা মাহমুদ দিদার।
মাহমুদ দিদার বলেন, মুক্তির আগেই ‘বিউটি সার্কাস’ নিয়ে মানুষের প্রত্যাশা ও ভালোবাসা অভাবনীয়। চলচ্চিত্রটি নিয়ে আমাদের দীর্ঘদিনের লড়াই শেষ হতে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, চলচ্চিত্রটি নির্মাণের দীর্ঘযাত্রায় তথ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর চলচ্চিত্রটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে। আশা করছি আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ধারক এই দারুণ চলচ্চিত্রটি দর্শক উপভোগ করবেন সিনেমা হলে গিয়ে।
নির্মাতা জানান, ১ সেপ্টেম্বর রাত ৮টায় চলচ্চিত্রটির পোস্টার উন্মোচিত হবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
২০১৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি নওগাঁর সাপাহার ও মানিকগঞ্জে সার্কাসের বিশাল যজ্ঞে দুইশ জনের নির্মাণসঙ্গী নিয়ে প্রায় দুই হাজার গ্রামবাসীর অংশগ্রহণে চিত্রধারণের কাজ করেন নির্মাতা। এর জন্য নির্মাতা বিশাল সার্কাস প্যান্ডেল নির্মাণ ও গ্রাম্য মেলার আয়োজন করেন। ২০১৭ সালে নির্মাণ শুরু হলেও চলচ্চিত্রটির ব্যাপ্তি ও নির্মাণের বৃহৎ আয়োজন সম্পন্ন করতে প্রায় পাঁচ বছর সময় লাগে নির্মাতার। করোনা মহামারির কারণেও পিছিয়েছে বহুল প্রতীক্ষিত চলচ্চিত্রটির মুক্তি। অবশেষে রুপালি পর্দায় ধরা পড়তে যাচ্ছে তারকাবহুল চলচ্চিত্রটি।
জয়া আহসান ছাড়াও এতে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ, তৌকীর আহমেদ, এবিএম সুমন, শতাব্দী ওয়াদুদ, গাজী রাকায়েত, হুমায়ূন সাধু, মানিসা অর্চি প্রমুখ।