বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

দেড় কোটি মানুষকে স্বাস্থ্য সচেতন করেছে ইউএসএআইডি-র উজ্জীবন

আপডেট : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২০:২৬

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের এই যুগে দেশের মানুষের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর প্রোগ্রামের উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য সামাজিক ও আচরণ পরিবর্তন যোগাযোগ কার্যক্রমের কোনো বিকল্প নেই। এছাড়াও দেশের মানুষের সামাজিক বৈষম্য দূর করতে আচরণ পরিবর্তনের দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। এমন মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ডা. মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।

সম্প্রতি ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ইউএসএআইডি)-এর সোশ্যাল অ্যান্ড বিহেভিয়ার চেঞ্জ কমিউনিকেশন (এসবিসিসি) প্রজেক্ট, উজ্জীবনের আয়োজনে লার্নিং ফেস্টিভালে এসব কথা বলেন তিনি।

ডা. মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, “দেশে কমিউনিটির সম্পৃক্ততা বাড়িয়ে সামাজিক বৈষম্য দূর করার পাশাপাশি, রোগ প্রতিরোধে জীবনযাত্রার পরিবর্তনকে অনুপ্রাণিত এবং স্বাস্থ্যসেবা নিতে মানুষকে উৎসাহিত করতে কাজ করে যাচ্ছে ইউএসএআইডির বিভিন্ন প্রকল্প। ইতোমধ্যে ইউএসএআইডির উজ্জীবন প্রকল্প গত পাঁচ বছরে দেড় কোটি মানুষকে স্বাস্থ্য সচেতন করতে সক্ষম হয়েছে।”
 
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জনসংখ্যা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি অফিস (ওপিএইচএন)-এর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মিরান্ডা বেকম্যান বলেন, “শুধুমাত্র সরকার ও বৈদেশিক সাহায্য দিয়ে উন্নয়ন নিশ্চিত করা যায় না। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য আমাদের কাজে আমাদের সাথে যোগদান করার জন্য আমাদের অবশ্যই বেসরকারী খাত এবং অন্যান্য অপ্রচলিত দাতাদের জন্য জায়গা তৈরি করতে হবে। একই সাথে নারী ও পুরুষ এবং মেয়ে ও ছেলেরা নিজেদের এবং তাদের পরিবারের জন্য স্বাস্থ্যকর জীবন বেছে নেওয়া ও উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে সকলের সম্মিলিত পদক্ষেপের উপরও জোর দেন তিনি।”

ইউএসএআইডি-এর উজ্জীবন প্রকল্প স্বাস্থ্যকর আচরণ এবং স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের আচরণ বৃদ্ধির জন্য কাজ করে আসছে। প্রকল্পটি চারটি বিষয়ের উপর কাজ করে-মা, নবজাতক, শিশু ও কিশোর-কিশোরীর স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা, পুষ্টি এবং যক্ষ্মা। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, কৌশলগত অংশীদার ও বেসরকারি খাতের সহযোগিতায়, প্রকল্পটি চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগে তার অগ্রাধিকার জনগণের মধ্যে জন্য স্বাস্থ্য প্রমোশনের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করে চলছে।

এদিকে, ইউএসএআইডি-এর উজ্জীবন প্রকল্প বিগত পাঁচ বছরের বাস্তবায়ন থেকে তার শিখনগুলো প্রচার করেছে এবং বাংলাদেশের স্বাস্থ্যের ফলাফলগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আরও সফল এবং উদ্ভাবনী প্রকল্পগুলির বিকাশের ভিত্তি তৈরি করে চলছে। লার্নিং ফেস্টিভাল এর মাধ্যমে একাধিক মাধ্যম ব্যবহার করে সমন্বিত বার্তা ব্যবহার করে জনগণকে অভিন্ন তথ্য দেয়া; দীর্ঘস্থায়ী পরিবর্তনের জন্য স্বাস্থ্য আচরণের মূল প্রভাবক কারণগুলি যেমন নিজের কার্যকারিতার উপর বিশ্বাস, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারস্পারিক যোগাযোগ, জেন্ডার সমতা ও সামাজিক রীতিকে বিবেচনা করা; এবং আধুনিক গর্ভনিরোধক পদ্ধতি ব্যবহার এবং মাসিক স্বাস্থ্যবিধি ব্যবস্থাপনার তথ্য সহ নারী ও মেয়েদের কাছে পৌঁছানোর জন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহার বৃদ্ধি করা প্রয়োজন বলে এসব সুপারিশ তুলে ধরেন উজ্জীবন প্রকল্প।

ইত্তেফাক/এমএএম