বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

শান্তি, উন্নয়ন ও সৌহার্দ্য অটুট রাখতে সকল স্তরে সজাগ থাকতে হবে: আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

আপডেট : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২২:৫৬

জাতীয় পার্টি-জেপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এমপি বলেছেন, বিরাজমান শান্তি-শৃঙ্খলা অব্যাহত রাখতে আমাদের মধ্যে ঐক্য বজায় রাখতে হবে। আগামীতে সমাজে শান্তি, উন্নয়ন, সৌহার্দ্য অটুট রাখার জন্য সকল স্তরে সজাগ থাকতে হবে। সমাজে যখন শান্তি-শৃঙ্খলার অভাব দেখা দেয়, তখন ঐ সমাজ উন্নয়ন বঞ্চিত হয়। ঐক্যবদ্ধ থাকলে তাদেরকে উন্নয়ন বঞ্চনার কবলে পড়তে হয় না। 

সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে পিরোজরপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলা সদরের শেখ কামাল পৌর অডিটরিয়ামে পিরোজপুর-২ আসনের ভান্ডারিয়া, কাউখালী ও ইন্দুরকানী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, পৌর সহায়ক কমিটির সদস্য এবং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা এ কখা বলেন তিনি। 

এ সভায় তিনি আরও বলেন, দেশে সারা বছর ধরেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন যেমন জেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। ভোটাররা যখন সচেতন হবে এসব নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তখন ঐ নির্বাচন সমূহ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয় না। মনে রাখতে হবে শক্তিশালী স্থানীয় সরকার নির্বাচন যখন অনুষ্ঠিত হয় তখন দেশের সাংবিধানিক ব্যবস্থা অবশ্যই শক্তিশালী ভিতের ওপর দাঁড়াতে সক্ষম হয়। তৃণমূল পর্যায়ের মানুষ সংগঠিত হয়ে যখন তাদের অধিকার আদায়ের জন্য তৎপর হন তাহলে তাদের ন্যায্য পাওনা নিশ্চিত হতে বাধ্য। সমাজে ঐক্যবদ্ধ নাগরিক গোষ্ঠী সৃষ্টি হয় তখন ঐ সমাজকে কেউ আর প্রতারিত করতে পারে না। তাদের অধিকারকে কেউ ছিনিয়ে নিতে পারে না। 

তিনি আরও বলেন, আগামীতে যে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেখানে যদি দেশের জনগণ তাদের পছন্দমতো প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারেন তাহলে দেশে একটি শক্তিশালী আইনসভা তথা সরকার ব্যবস্থা সৃষ্টি হবে। একটি শক্তিশালী সরকার তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায়ের সকল স্তরে মানুষের জন্য প্রত্যাশিত কাজ করতে সক্ষম হন। নির্বাচন ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে জবাবদিহিতার পদ্ধতি রাষ্ট্রে সংহত হয়। যে রাষ্ট্র ব্যবস্থা মানুষের জন্য কল্যাণ, উন্নয়ন, স্বাধীনতা, গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে পারে।

আনোয়ার হোসেন মঞ্জু আরও বলেন, স্থানীয় সরকার পর্যায়ে যারা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হন তাদের ওপর অনেক গুরু দায়িত্ব অর্পিত থাকে এবং সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখ, অভাব-অভিযোগ, চাহিদা তাদের পক্ষেই অনুধাবন করা সম্ভবপর হয়। সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাদের প্রতিনিয়ত দেখা হয় বলেই মানুষ মন খুলে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। আমরা যারা রাজধানীতে অবস্থান করি তারা স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে তৃণমূলের মানুষের কথাগুলো উপলব্ধি করে সিদ্ধান্ত নেই। তাই আমরা স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিদের কথাগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করি। তাই আমাদের দেশের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক, দুর্নীতিমুক্ত তথা গণতান্ত্রিক ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে হবে। 

মতবিনিময় সভায় ইন্দুরকানী উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট এম. মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে আরও বক্তৃতা করেন, পিরোজপুর জেলা পরিষদ প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন মহারাজ, ভান্ডারিয়া উপজেলা জেপি আহ্বায়ক মনিরুল হক মনি জমাদ্দার, কাউখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ.কে এম আব্দুস শহীদ, ভান্ডারিয়া উপজেলা জেপি সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাহিবুল হোসেন মাহিম, কাউখালী উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা জেপি সভাপতি আবু সাঈদ মিঞা মনু, ইন্দুরকানী উপজেলা জেপি সভাপতি মো. শাহীন হাওলাদার। বক্তৃতা করেন, ভান্ডারিয়া উপজেলা জেপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম সরোয়ার জোমাদ্দার, ধাওয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ভান্ডারিয়া উপজেলা জেপি’র সদস্য সচিব সিদ্দিকুর রহমান টুলু, টুঙ্গীপাড়া আওয়ামী লীগ নেতা হাফিজুর রশিদ তারেক। 

এছাড়া আরও বক্তৃতা করেন, ইন্দুরকানীর চন্ডিপুর ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান, পাড়েরহাট ইউপি সদস্য আলী হায়দার, কাউখালী ইউপি সদস্য রুবেল মিয়াজি, ইকড়ি ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন বাচ্চু, ভিটাবাড়িয়া ইউপি সদস্য শওকত হোসেন সোহাগ, ধাওয়া ইউপি সদস্য ফিরোজ হোসেন মুন্সী, কাউখালী ইউপি সদস্য আশরাফুল ইসলাম ছোট্ট, যুবলীগের উপজেলা সভাপতি এনামুল কবির টিপু, ভান্ডারিয়া উপজেলা যুব সংহতি’র সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ সরদার, কাউখালী উপজেলা শিয়ালকাঠী ইউপি চেয়ারম্যান সিকদার দেলোয়ার হোসেন, ইন্দুরকানী বালিপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন বয়াতি, গৌরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মজিবর রহমান চৌধুরী, ভান্ডারিয়া পৌর সহায়ক কমিটির সদস্য ইউসুফ আলী আকন, ইন্দুরকানী উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান দিলরুবা নাহার মিলন, ইন্দুরকানী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বাগা ও ভান্ডারিয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মৃধা প্রমুখ।

উপস্থিত ছিলেন, ভান্ডারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ফয়জুর রশিদ খসরু জোমাদ্দার, ভান্ডারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সীমা রানী ধর, কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. খালেদা খাতুন রেখা, ইন্দুরকানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাম্মাৎ লুৎফুন্নেছা খানম, ভান্ডারিয়া উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আসমা আক্তার, ভান্ডারিয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুমানা আফরোজ, ভান্ডারিয়া নদমুল্লা ইউপি চেয়ারম্যান মেজবা উদ্দিন আরিফ জমাদ্দার, ইকরি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাই হাওলাদার, ভিটাবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান খান এনামুল করিম পান্না, কাউখালী উপজেলার আমড়াঝুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন, কাউখালী সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান, চিড়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান লায়েকুজ্জামান তালুকদার মিন্টু, ইন্দুরকানী ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ করিম ইমন, ভান্ডারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুমুর রহমান বিশ্বাস, কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. বনি আমিন, ইন্দুরকানী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. এনামুল হক। 

ইত্তেফাক/এএএম