বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ভারত সফর সফল হওয়ায় বিএনপির মন খারাপ: তথ্যমন্ত্রী

আপডেট : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৯:৫৪

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর অত্যন্ত সফল ও সন্তোষজনক হয়েছে এবং দুই দেশের সরকার তা ব্যক্ত করেছেন। অন্যদিকে বিএনপির এতে মন খারাপ হয়েছে। সেকারণে উনারা এখন আবোল তাবোল বকছেন।’ 

রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ড. হাছান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর অত্যন্ত সফল এবং ফলপ্রসূ হয়েছে। এই সফরে অনেকগুলো চুক্তি এবং সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে ভারতের স্থলভাগ ব্যবহার করে বিনা শুল্কে তৃতীয় দেশে পণ্য রপ্তানির সুযোগ। এটির জন্য আমরা বহু বছর ধরে চেষ্টা করে এসেছি। এতদিন ধরে ভারতের স্থলভাগ ব্যবহারের বিষয়ে যে অনেকটা বাধা ছিল তা দূরীভূত হয়েছে। এখন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম এবং মংলা বন্দর দিয়ে ভারতের স্থলভাগের ওপর দিয়ে নেপাল এবং ভুটানের সাথে পণ্য আমদানি এবং রপ্তানি করতে পারবে। এটি একটি বড় অর্জন। 

‘আমাদের সরকার ও জননেত্রী শেখ হাসিনাই ভারতের কাছ থেকে সবকিছু আদায় করেছেন’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক শালিস আদালতে মামলা করে আমরা ভারতের কাছ থেকে সমুদ্রসীমা আদায় করেছি। চুক্তি হওয়ার ৪০ বছর পরও আমাদের ছিটমহলের যে দাবি আদায় হয়েছিল না, সেটি প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই আমরা করতে সক্ষম হয়েছি। ২০টি পণ্য ছাড়া  বাংলাদেশের সমস্ত পণ্য রপ্তানিতে ভারত শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়েছে, যেগুলো অন্য কেউ আদায় করতে পারেনি। আর কুশিয়ারা নদীর পানি নিয়েও আমাদের পক্ষে যে চুক্তি হয়েছে সেটি একটি বড় অর্জন।

তিস্তা নদীর পানিবন্টন নিয়ে প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কোনো ধরণের আপত্তি নেই। কিন্তু ভারতের বিধি-বিধান অনুযায়ী সেখানে রাজ্য সরকারের একটি অনুমোদন লাগে। রাজ্যের পক্ষ থেকে যেহেতু আপত্তি আছে সে কারণে এটি এতদিন ধরে এগোয়নি, তবে এটি নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। আশা করছি নিশ্চয়ই খুব শীঘ্রই এটির সমাধান হবে।’ 

এর আগে জাতীয় প্রেসক্লাবের উদ্যান উপকমিটি আয়োজিত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। প্রেসক্লাবের অভ্যন্তরীণ বাগানে একটি ডালিম গাছের চারা রোপণ করেন তিনি। প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ ও উদ্যান উপকমিটির সভাপতি শাহেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব আব্দুল জলিল ভূঁইয়া, সিনিয়র সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম রতন, রহমান মুস্তাফিজ প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি আয়োজনের জন্য প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন জানান এবং বলেন, তাদের এ উদ্যোগ দেশের মানুষকে উৎসাহিত করবে।

ইত্তেফাক/এমএএম