শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৫ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নে শ্রীলঙ্কার ওপর চাপ জাতিসংঘের

আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৩:৩৪

সাত দশকের মধ্যে সবচেয়ে বাজে অর্থনৈতিক সংকট থেকে উদ্ভূত মানবিক সংকট মোকাবিলায় শ্রীলঙ্কার প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করা এবং দেশটির মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানো উচিত বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক এক শীর্ষ কর্মকর্তা।

খাদ্য, জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও ওষুধ সংকটে হিমশিম খাওয়া লাখ লাখ মানুষকে সহায়তায় কলম্বোর উদ্যোগে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগিতা করা উচিত বলেও মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনার নাদা আল-নাশিফ। সোমবার জেনেভায় মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫১তম অধিবেশনে তিনি বলেন, ‘আমি নতুন সরকারকে মানবাধিকার ও সমন্বয়সাধনের কাজ এগিয়ে নিতে জাতীয় সংলাপ শুরু করতে এবং অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা, মানবাধিকার লংঘনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ, শাস্তি থেকে রেহাই পাওয়ার বিরুদ্ধে লড়াই ও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারে প্রাতিষ্ঠানিক, গণতান্ত্রিক ও নিরাপত্তা খাতে প্রয়োজনীয় সংস্কারে উত্সাহিত করছি।’ তিনি জুলাইয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষেকে উৎখাতে ভূমিকা রাখা আন্দোলনের নেতাদের প্রেফতারে নিরাপত্তা আইনের ব্যবহার বন্ধে শ্রীলঙ্কার বর্তমান প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

জেনেভার ঐ বৈঠকে শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি সাবরি বলেন, মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতিতে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের সঙ্গে কাজ করতে তাদের সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তবে তাদের দৃষ্টিতে ‘অসাংবিধানিক’ এমন যে কোনো আন্তর্জাতিক বিচারিক হস্তক্ষেপে কলম্বো আপত্তি জানাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।  আল-নাশিফ বলেছেন, ২০০৯ সালে শেষ হওয়া গৃহযুদ্ধের সময় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ নিয়ে একটি বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত করার পথে  শ্রীলঙ্কাকে আরো অগ্রসর হতে হবে এবং দ্বীপদেশটির উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে নিরস্ত্রীকরণ কর্মসূচিকে এগিয়ে নিতে হবে।  শ্রীলঙ্কার সামরিকবাহিনী গৃহযুদ্ধের শেষ সপ্তাহগুলোতে হাজার হাজার বেসামরিক বিশেষ করে জাতিগতভাবে তামিলদের হত্যা করেছে বলে জাতিসংঘ ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন অভিযোগ করে আসছে। সেসময় গুম হয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা যেন ন্যায়বিচার পায়, সেজন্য কলম্বোর ওপর চাপ সৃষ্টি করে আসছে তারা। 

ইত্তেফাক/ইআ