কোন রকম অঘটন ছাড়াই সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠে গেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) দশরথ রঙ্গশালায় আসরের প্রথম সেমিফাইনালে ভূটানকে ৮-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনাল নিশ্চিত করেছেন সাবিনা-সানজিদারা। তবে এমন জয়ের পরও দলের মধ্যে বাড়তি কোন উচ্ছ্বাস দেখা যায়নি।
ম্যাচ শেষের প্রতিক্রিয়ায় এর কারণ ব্যাখ্যা করেন দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। তিনি বলেন,‘ আমাদের প্রথম লক্ষ্য ছিল ফাইনাল নিশ্চিত করা। মেয়েরা সেই আশা পূরণ করেছে। এখন শিরোপা জেতার লক্ষ্য। সেটা হলেই সেলিব্রেশন (উদযাপন) করব।’
বাংলাদেশ কোচ বলেন, ‘পুরো ম্যাচ জুড়েই মেয়েরা ভাল খেলেছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলেছে। তিন ম্যাচেই ভাল ব্যবধানে জিতেছি আমরা। নিজেদের পুরো শক্তি দিয়েই খেলেছি। ভূটানের বিপক্ষে সবাইকে পরখ করে দেখা হয়েছে। যে যখন নামবে সেরাটাই দিবে। মেয়েরাও তাই দিয়েছে। কৃতিত্ব দেবো খেলোয়াড়দের। প্রত্যেকটি ডিপার্টমেন্টেই দুর্দান্ত খেলেছে। সব বিভাগেই সমানতালে যুদ্ধ করেছে। লক্ষ্য ছিলো প্রথম ১৫ মিনিটের মধ্যে গোল করে ম্যাচকে সহজ করে নেওয়া। তবে কত গোল করব তা নির্ধারণ করিনি। কারণ জানতাম পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারলে গোল আসবে। আমাদের কাছে জেতাটাই জরুরী ছিল। ঢাকা থেকে আসার সময় আমরা প্রতিজ্ঞা করেছিলাম ফাইনালে যাবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ভাল কিছু করার স্বপ্ন দেখতাম এবং ২০১৬ সালে আমাদের সভাপতি (বাফুফে) বলেছিলেন ভালো কিছু করতে গেলে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা দরকার। সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যেই ২০১৬ সালের অক্টোবরে এই ক্যাম্প শুরু হয়। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে থাইল্যান্ডে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ এর ফাইনাল রাউন্ড পর্যন্ত গিয়েছি। সেখানে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন উত্তর কোরিয়া, রানার্সআপ দক্ষিণ কোরিয়া ও তৃতীয় হওয়া জাপান আমাদের গ্রুপে ছিল। আমরা সেখানে খেলেছি। প্রতিনিয়ত অনুশীলনের মধ্যেই ছিল মেয়েরা। ফেডারেশন সহযোগিতা করেছে, সাথে সাথে টেকনিক্যালি কোচিং স্টাফরাও কঠোর পরিশ্রম করেছে। সবচেয়ে বেশি অবদান আমার মেয়েদের। তারা সারা বছর অনুশীলন করেছে।’