গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনিসহ পাঁচজন দগ্ধের ঘটনা দুঃখ প্রকাশ করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে গিয়ে বেলুন বিস্ফোরণে আহদের খোঁজ নেন। এসময় রনিসহ আহতদের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এসময় ইন্সটিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেনসহ অন্য চিকিৎসকদের সঙ্গে নিয়ে পুলিশ কমিশনার আহতদের চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজ নেন এবং সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে চিকিৎসা দেয়ার অনুরোধ করেন।
এদিকে বিস্ফোরণের ঘটনায় শুক্রবার রাতেই গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি (উপ-কমিশনার, উত্তর) আবু তোরাব মো. শামসুর রহমানকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন কার্য দিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- এডিসি (উত্তর) রেদোয়ান আহমেদ, এসি প্রসিকিউশন মো. ফাহিম আশজাদ ও গাজীপুর সদর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সন্ধ্যায় জিএমপি’র চতুর্থ বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানের মঞ্চের পূর্ব পাশে ছোট উদ্বোধন মঞ্চে ওড়ানোর জন্য কিছু গ্যাস বেলুন নেওয়া হয়। বার বার চেষ্টা করলেও বেলুনগুলো উড়ছিল না। পরে কয়েকজন পুলিশ সদস্য এতে সেই বেলুনগুলো মঞ্চের পিছনে নিয়ে যায় পরে পায়রা উড়িয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অন্য অতিথিবৃন্দ অনুষ্ঠানের মুল মঞ্চে চলে যান। তারা মূল মঞ্চে চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর কয়েকজন পুলিশ সদস্য বেলুন বিক্রেতাকে বকাঝকা করলে বেলুন বিক্রেতা নিজেই বেলুন গুলো উড়ানোর চেষ্টা করার সময় বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনি, গাজীপুর জেলা পুলিশের কনস্টেবল মোশারফ হোসেন, গাছা থানার কনস্টেবল রুবেল মিয়া ও ইমরান হোসেন, টঙ্গী পূর্ব থানার কনস্টেবল জিল্লুর রহমান আহত হয়ে নিচে পড়েন। পরে আশপাশের পুলিশ সদস্যরা তার গায়ে পানি ঢেলে আগুন নেভায় এবং গাড়িতে করে দ্রুত গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিত্সক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আবু হেনা রনি ও কনস্টেবল জিল্লুর রহমানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে পাঠান।