মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশটির উত্তরের সাগাইং অঞ্চলে শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) একটি স্কুলে হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালিয়ে অন্তত ১১ শিশুকে হত্যা করেছে। আরও ১৫টি শিশু এখনো নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সাগাইংয়ে দেশটির একটি বিদ্রোহী দলের শক্ত ঘাঁটি রয়েছে। গত শুক্রবার সেনাবাহিনী সেখানে লেত ইয়েত কোন গ্রামে মন্দিরের পরিচালিত একটি স্কুলে গুলিবর্ষণ করে।
স্কুলে হামলার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিদ্রোহীরা ওই স্কুলে লুকিয়ে আছে এমন খবর পাওয়ার পর তারা সেখানে অভিযান চালায়। ওই স্কুলের শিক্ষার্থীদের বয়স ছয় থেকে ১৪ বছরের মধ্যে।
এর আগে, হামলায় অন্তত ছয়টি শিশু নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছিল বিবিসি বার্মিজ। স্কুলে নিহত শিশুদের মধ্যে ৭ ও ১৪ বছরের দুই বালক এবং ৭, ৯ ও ১১ বছরের তিনজন বালিকা রয়েছে।
এছাড়া ১৩ বছরের একটি বালক তার বাবার সঙ্গে স্কুলের কাছেই মাছ ধরছিল। সেখানে গুলিবিদ্ধ হয়ে সে মারা যায়। সেনাবাহিনী বেশিরভাগ শিশুর মৃতদেহ নিয়ে গেছে বলেও জানান স্থানীয় লোকজন।
শুক্রবারের ওই হামলায় আরও ছয়জন গ্রামবাসী মারা যান। যাদের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ এবং একজন নারী ছিল বলে জানায় বিবিসি বার্মিজ।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইউনিসেফ জানায়, আকাশ থেকে ‘নির্বিচারে গুলি চালিয়ে’ ওই শিশুদের হত্যা করা হয়েছে। সংস্থাটি থেকে নিখোঁজ ১৫ শিশুকে দ্রুত ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।