দেশের জন্য এলে দিলেন দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট, দেশে ফিরে বীরোচিত সংবর্ধনাও পেলেন, তবে তারপরেই যে এমন বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হবে সেটি হয়তো ভাবেওনি কৃষ্ণা-শামসুন্নাহাররা। বিমানবন্দরে নেমে রাজসিক সংবর্ধনা পেয়ে রাতে বাফুফে ভবন ফিরে নিজেদের লাগেজ খুলে দেখেন চুরি গেছে তাদের লাগেজে থাকা নগদ অর্থ। অন্যান্যদের লাগেজের তালা ভাঙ্গার চেষ্টার ছাপও দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে বাফুফে থেকে এই ঘটনা নিশ্চিত করে সিভিল এভিয়েশনের কাছে একটি অভিযোগ করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে নিশ্চিত করেছেন বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ। তিনি বলেন, 'কৃষ্ণা রানী সরকারের ব্যাগ থেকে ৯০০ ডলার এবং শামসুন্নাহারের ব্যাগ থেকে ৪০০ ডলার চুরির বিষয়ে অভিযোগ দেওয়ার পর সিভিলএভিয়েশন গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছে।'
ফুটবলারদের ব্যাগ থেকে ডলার চুরির ঘটনা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে বলেও মন্তব্য করেন কিরণ।
এদিকে কৃষ্ণা-শামসুন্নাহারের লাগেজ থেকে ১৩০০ ডলার চুরির ঘটনায় আজই বাফুফেকে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার কথা আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন)।
অন্যদিকে, বিমানবন্দর থেকে কৃষ্ণাদের লাগেজ থেকে ডলারসহ অন্যান্য সামগ্রী চুরি হওয়ার অভিযোগ পাওয়ার পর তা অস্বীকার করেছে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ। তারা জানায়, 'বিমানবন্দর থেকে লাগেজগুলো অক্ষত অবস্থাতেই হস্তান্তর করা হয়েছে।'
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে কৃষ্ণাদের লাগেজ থেকে নগদ অর্থসহ অন্যান্য সামগ্রী চুরির ঘটনাটি সামনে আসে।
কৃষ্ণা রানী গণমাধ্যমকে জানান, 'দেশে আসার পর আমাদের জন্য বড় ধরনের আয়োজন ছিল। এ জন্য আমরা আমাদের হ্যান্ডব্যাগটা বড় লাগেজের ভেতরে রেখেছিলাম। পরে রাতে লাগেজ হাতে পেয়ে যখন সেটা খুলি, তখন দেখি ভেতরের ছোট ব্যাগের চেইন খোলা।
হারানো অর্থের পরিমাণ সম্পর্কে তিনি বলেন, 'ব্যাগের ভেতরে আমার ৯০০ ডলার, শামসুন্নাহারের ৪০০ ডলারসহ আরও অনেকের কিছু ডলার ছিল। বাংলাদেশি টাকায় যার মূল্য আড়াই লাখ টাকার মতো। সেগুলোর কিছুই নেই ব্যাগের ভেতর।
বিমানবন্দরে নেমে সংবর্ধনার কারণে নিজেদের ব্যাগগুলো নিজেরা সংগ্রহ করতে পারেনি ফুটবলাররা। সেখান থেকে ব্যাগগুলো সংগ্রহ করে বাফুফের প্রতিনিধিরা। রাত পর্যন্ত সংবর্ধনা শেষে ফুটবলাররা যখন নিজেদের লাগেজ হাতে পান, তখনই বিষয়টি নজরে আসে সবার।
নগদ অর্থের পাশাপাশি অনেকের লাগেজের তালাও ভাঙ্গা ছিল বলে জানানো হয়েছে বাফুফের পক্ষ থেকে। সেসব লাগেজে করে নিজেদের প্রিয়জনদের জন্য শাড়ি, প্রসাধনীসহ মূল্যবান উপহার এনেছিলেন ফুটবলাররা।