পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে বিশ্বের সব দেশের স্বীকৃতি পেতে কাজ করছে বাংলাদেশ। বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) কানাডার উইনিপেগের মানবাধিকার জাদুঘরে অনুষ্ঠিত ‘রিমেম্বার অ্যান্ড রিকগনাইজ: দ্য কেস অব বাংলাদেশ জেনোসাইড অব ১৯৭১’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনারে ভিডিও বার্তায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর সংঘটিত গণহত্যা মানব ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্যতম অপরাধগুলোর একটি। এত বেশিসংখ্যক হত্যা এবং বর্বরতার এমন উদাহরণ আমরা আর একটিও খুঁজে পাব না।
কানাডায় বাংলাদেশের হাইকমিশন এবং কানাডার বঙ্গবন্ধু সেন্টার ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ (বিসিবিএস), বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, জেনোসাইড স্টাডিজ সেন্টার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রিফিউজিস রেজিলিয়েন্স সেন্টার এবং রোটারি ক্লাব কানাডা যৌথভাবে বাংলাদেশ গণহত্যার ঘটনা স্মরণ ও স্বীকৃতি বিষয়ক দিনব্যাপী সেমিনারের আয়োজন করে।
নিউইয়র্ক থেকে বিশেষ অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং কানাডায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার খলিলুর রহমান। কানাডায় বিসিবিএস প্রধান পৃষ্ঠপোষক ড. কাওসার আহমেদ সূচনা বক্তব্য রাখেন। এসময় সেমিনারে গণহত্যার শিকার পরিবারের কয়েকজন সদস্যও বক্তব্য রাখেন।
অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী তার পিতা ডা. আলীম চৌধুরীকে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী, রাজাকারদের সহযোগীদের কর্তৃক অপহরণ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঠিক আগে তার পরবর্তী নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দেন। তিনি বাংলাদেশের গণহত্যার স্বীকৃতি পাওয়ার ব্যাপারে দ্বিধাদ্বন্দ্বের পেছনে আন্তর্জাতিক রাজনীতি ব্যাখ্যা করেন এবং এ ধরনের স্বার্থবাদী রাজনীতির অবসানের আহ্বান জানান।
এছাড়াও সিরাজউদ্দিন হোসেনের ছেলে তৌহীদ রেজা নূর তার বাবাকে অপহরণ ও হত্যার বর্ণনা দেন। শহীদ সিরাজউদ্দিন হোসেন একজন বিশিষ্ট সাংবাদিক ছিলেন। তিনি বর্ণনা করেন কিভাবে বাঙ্গালী বুদ্ধিজীবীরা পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী সংঘটিত গণহত্যার শিকার হয়েছেন।
- বাসস