রোববার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

ব্যাখ্যা চেয়েছে মন্ত্রণালয় 

ই-নামজারিতে মানা হচ্ছে না নির্দেশ

আপডেট : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৭:০৬

অনলাইন জমির নামজারির ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মাঠ পর্যায়ে কার্যকর না হওয়ায় নাগরিক সেবা ব্যাহত হচ্ছে। এরকম বাস্তবতায় ক্ষুব্ধ মন্ত্রণালয় এবার কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। আবেদনের সর্বোচ্চ ২৮ দিনের মধ্যে নামজারি নিষ্পন্ন করার বাধ্যবাধকতা থাকলে ক্ষেত্রবিশেষ এই সময়সীমা ৭২ দিনে ঠেকছে। কেন এই অবস্থা তা জানতে ভূমি মন্ত্রণালয় সকল বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের কাছে বিস্তারিত ব্যাখ্যা তলব করে চিঠি পাঠিয়েছে। আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।

জানতে চাইলে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়গুলো তারা পরীক্ষানিরীক্ষা করেছে। জনহয়রানি বন্ধে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কোথায় কী কারণে সমস্যা হচ্ছে সেটি জানতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠির জবাব পাওয়ার পর যে ক্ষেত্রে যার দায়িত্ব সে ক্ষেত্রে লঘু থেকে গুরুদণ্ড দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় কোনরূপ শৈথিল্য মানবে না।

ছবি- সংগৃহীত

সর্বশেষ গত আগস্ট মাসের তথ্য পর্যালোচনা করে মন্ত্রণালয় জানতে পেরেছে আট বিভাগের কোনটিতেই নামজারি নিষ্পন্নের সময়সীমা মানা হয়নি। ভূমি সচিব জানান পরিপত্র অনুযায়ী ই-নামজারি আবেদন ২৮ দিনের মধ্যে নিষ্পন্ন করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু গত আগস্ট মাসে সব বিভাগের অধীন ই-নামজারি মামলার গড় নিষ্পত্তির সময় ছিল নির্ধারিত সময়ের বেশি। ই-নামজারি আবেদন নিষ্পত্তিতে সময় লেগেছে ঢাকা বিভাগে ৩৭ তিন। চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৬ দিন। রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে ৪৪ দিন এবং রংপুর বিভাগে ৪৫ দিন। গাজীপুরে সময় লেগেছে ৭২ দিন, নারায়ণগঞ্জে ৫৯ দিন, মানিকগঞ্জে ৫৪ দিন, রাজবাড়ীতে ৬৪ দিন, ফেনীতে লেগেছে ৫৮ দিন, কুমিল্লায় লেগেছে ৫৩ তিন, কক্সবাজারে লেগেছে ৫২ দিন। লক্ষ্মীপুরে লেগেছে ৫৩ দিন, নওগাঁয় লেগেছে ৫৯ দিন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৬৮ দিন. খুলনা জেলায় ৫২ দিন, নড়াইলে ৫৩ দিন, মাগুরায় ৫৪ দিন, ঝালকাঠিতে ৫৩ দিন, বরিশালে ৫৩ দিন, সিলেটে ৬২ দিন, সুনামগঞ্জে ৬০ দিন, শেরপুরে ৬২ দিন, রংপুরে ৫৩ দিন, গাইবান্ধায় ৫২ দিন এবং দিনাজপুরে ৫২ দিন।

ছবি- সংগৃহীত

ঐ চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে যেসব আবেদন অনলাইনে দাখিল করা হয়েছে, কিন্তু ম্যানুয়ালি অনুমোদন করে খতিয়ান দেওয়া হয়েছে এমন আবেদন যদি সিস্টেমে পেন্ডিং থাকে তাহলে এ আবেদনগুলো একটি আদেশ দিয়ে নামঞ্জুর করে দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। তবে আবেদনটি ম্যানুয়ালি প্রসেস করে খতিয়ান দেওয়া হয়েছে সেজন্য অনলাইন থেকে নামঞ্জুর করা হলো বলে আদেশ দিতে হবে। এ আদেশে ম্যানুয়ালি সৃষ্ট খতিয়ান নম্বর, আদেশের তারিখ ইত্যাদি সব রেফারেন্স উল্লেখ থাকতে হবে। এছাড়া ম্যানুয়ালি সৃষ্ট খতিয়ান চলমান মিউটেটেড খতিয়ান ডাটা এন্ট্রিতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে যদি এমন কোনো নামজারি আবেদন থাকে যার খতিয়ান চূড়ান্ত, কিন্তু ডিসিআর (ডুপ্লিকেট কার্বন রিসিপ্ট) ফি পরিশোধ করা হয়নি তবে সেই পেন্ডিং আবেদনগুলো আর বিবেচনা না করার কথা বলা হয়েছে।

ইত্তেফাক/এমএএম