সেপ্টেম্বর মাসকে সারা বিশ্বে রিকভারি মাস হিসেবে উদযাপন করা হয়। মাদক গ্রহণকারী ব্যক্তির প্রতি পরিবার ও সামাজের নেতিবাচক মনোভাব পোষণ পুনর্বাসন ও চিকিৎসায় প্রক্রিয়ায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
এই মাস উদযাপনের অন্যতম উদ্দেশ্য রিকভারি কমিউনিটিকে অনুপ্রাণিত করা যাতে করে তারা তাদের রিকভারি জীবনের এই চলমান প্রক্রিয়ায় নিজেদেরকে একা না ভাবে, তারা তাদের রিকভারি হওয়ার বিষয়ে লজ্জা বা সংকোচ বোধ না করে। সমাজের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ও বৈষম্য কমানোর মাধ্যমে রিকভারিদের অনুপ্রাণিত করতে হবে।
আন্তর্জাতিক রিকভারি মাস উদযাপন উপলক্ষে মঙ্গলবার ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের ধানমন্ডি প্রধান কার্যালয়ের মিলনায়তনে মাদক থেকে সুস্থতা প্রাপ্ত রিকভারি পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। এবারের রিকভারি মাসের প্রতিপাদ্য ‘এভরি পার্সন, এভরি ফ্যামেলি, এভরি কমিউনিটি’।
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের নির্বাহী পরিচালক সাজেদুল কাইয়ুম দুলালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবদুল ওয়াহাব ভূঞা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা ও পুনর্বাসন) মো. মাসুদ হোসেন, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার ও মালয়েশিয়ার সোলেস মাদকাসক্তি চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রেম কুমার। এছাড়া আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের আবাসিক মনোচিকিৎসক ডা. রাহানুল ইসলাম।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবদুল ওয়াহাব বলেন, মাদক নির্ভরশীলতার কারণে শারীরিক, মানসিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সমস্যা সৃষ্টি হয়। মাদক নির্ভরশীলতা চিকিৎসায় স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে নীতিনির্ধারকসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সম্পৃক্ত করা উচিত।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ।