বাণিজ্যিক জলজ শস্য চাষের জন্য শ্রীলঙ্কা সরকারের সুযোগ নিয়ে আধিপত্য অর্জনের জন্য বেশ কয়েকটি শর্ত দিয়ে প্রচারণা শুরু করেছে চীন। শ্রীলংকার উত্তর প্রদেশের স্থানীয় জেলেরা এই প্রকল্পের বিরোধিতা করছেন বলে জানা গেছে। এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম মাওরাটা নিউজ।
সামুদ্রিক শসা চাষ হলো শ্রীলঙ্কার অন্যতম প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। এবার এই সামুদ্রিক শস্য বেইজিং এর নজরে পড়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। শ্রীলঙ্কা প্রতি বছর প্রায় ৩৩৬ টন সামুদ্রিক শসা উৎপাদন করে। চীন, সিঙ্গাপুর এবং হংকং এ রপ্তানিও করে। চীন এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সামুদ্রিক শসা অনেক বিখ্যাত এবং এর একটি লাভজনক বাজার রয়েছে।
এই উদ্যোগে ৩৬ হাজার একরেরও বেশি সমুদ্র অঞ্চল অন্তর্ভুক্ত হবে যাতে ৮.৬ মিলিয়ন কিলোগ্রাম শসা পাওয়া যায়। যার মূল্য প্রায় ৪৫০ মিলিয়ন ডলার। ১০ বছরের এই প্রকল্পটি বার্ষিক পাঁচ হাজার একরের জলজ চাষ করবে, যার ফলে মারাত্মক সামুদ্রিক ক্ষয় হতে পারে।
স্থানীয়রা, বিশেষকরে উত্তর প্রদেশের জেলেরা ইতোমধ্যে প্রকল্পের বিরোধিতা করছেন। উত্তর শ্রীলঙ্কার স্থানীয় মৎস্যজীবীরা বাণিজ্যিক জলজ চাষের উপর সরকারের চাপকে তাদের জীবিকা ও জমির জন্য হুমকি মনে করে।
স্থানীয় গণমাধ্যমে জাফনা ফিশারিজ ফেডারেশনের সভাপতি আন্নালিঙ্গম আনারসা জানান, প্রস্তাবিত সামুদ্রিক শসার খামার তাদের জন্য উপকারের চেয়ে বেশি ক্ষতি বয়ে আনবে।