আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টি-২০ তে টস হেরে ব্যাট করতে নামে আমিরাতকে ১৭০ রানের টার্গেট দিয়েছে বাংলাদেশ। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ১৬৯ রান করে বাংলাদেশ।
আজকেও বাংলাদেশের হয়ে ইনিংস উদ্ধোধন করেন সাব্বির ও মেহেদী হাসান মিরাজ। আবারো ব্যর্থ সাব্বির রহমান। শুরু থেকে আগ্রাসী ভঙ্গিতে খেলতে থাকেন মিরাজ ও সাব্বির। প্রথম ওভারে দুই বাউন্ডারীতে ৯ রান তোলেন তারা।
এরপর দ্বিতীয় ওভারে আসে তিন রান। তৃতীয় ওভারে ফ্রি হিটে একটি ছক্কা মারেন সাব্বির। তবে, চতুর্থ ওভারেই আউট হন সাব্বির।দলীয় ২৭ রানে আরিয়ান লাকরার বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। ৯ বলে ১২ করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরপর ক্রিজে আসেন লিটন দাস। লিটনকে সঙ্গে নিয়ে রানের কিছুটা গতি বাড়ান মিরাজ। দুজন মিলে ৪১ রানের পার্টনারশিপ করেন। তবে, নবম ওভারে আউট দলীয় ৬৮ রানে আউট হন লিটন দাস।
স্পিনার আয়ান ফজলের বলে কার্তিক মিয়াপ্পনকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ২০ বলে ২৫ করে আউট হন লিটন। এরপর ক্রিজে আসেন আগের ম্যাচের ম্যাচ সেরা আফিফ হোসেন।
তবে, আজ সুবিধা করতে পারেননি তিনি। শুরুটা ভালো করলেও ক্রিজে থিতু হতে পারেননি এই ব্যাটার। ফজলের দ্বিতীয় শিকার হন তিনি। ১১তম ওভারে সেই মিয়াপ্পনের হাতে ধরা পড়েন তিনি। দলীয় ৯০ রানে ১০ বলে ১৮ করে ফেরেন আফিফ।
এরপর ক্রিজে আসেন মোসাদ্দেক সৈকত। সৈকতকে নিয়ে ইনিংস বড় করার চেষ্টা করেন ওপেনিংয়ে নামা মিরাজ। ১৫তম ওভারের শেষ বলে সাবির আলির বলে আউট হন মিরাজ। দলীয় ১২২ রানে ৩৭ বলে ৪৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন মিরাজ।
মিরাজের আউটের পর ক্রিজে আসেন ইয়াসির রাব্বি। ইয়াসিরকে নিয়ে রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেন সৈকত। কিন্তু ১৭ ওভারে মিয়াপ্পানকে উড়ে মারতে গিয়ে মুহাম্মদ ওয়াসিমের হাতে ধরা পরেন তিনি। ২২ বলে ২৭ করে দলীয় ১৩৭ রানে ফিরে যান সৈকত।
এরপর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক নূরুল হাসান সোহান। আর কোন উইকেট না হারিয়ে এই দুজনই ইনিংস শেষ করেন। ইয়াসির ১৩ বলে ২১ ও সোহান ১০ বলে ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন।