শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩, ১৮ চৈত্র ১৪২৯
দৈনিক ইত্তেফাক

ঘোষণা দিলেও বাজারে দাম কমেনি ভোজ্যতেলের

আপডেট : ০৫ অক্টোবর ২০২২, ১২:২৩

ভোজ্যতেলের নতুন দাম বেধে দিয়েছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফেকচার অ্যাসোসিয়েশন। প্রতি লিটার ১৪ টাকা দাম কমিয়ে ১৭৮ টাকা করা হয়েছে।

সোমবার (৩ অক্টোবর) দাম কমানোর ঘোষণা দেওয়ার পর ক্রেতাদের মুখে তৃপ্তির হাসি ফুটলেও আগেরও দরেই কিনতে হচ্ছে তেল। অথচ নতুন দর কার্যকর হওয়ার কথা ছিল মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) থেকে।

সরেজমিনে রাজধানীর কোনো বাজারে নতুন মূল্যের সয়াবিন তেল পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ দাম কমানো হলেও সে দাম মানেননি ব্যবসায়ীরা।

মুদি দোকানি ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলেন, মিল থেকে নতুন দামের তেল এখনও আসেনি। বেশি দামে কেনা থাকায় আগের দরেই বিক্রি করা হচ্ছে। নতুন দরের তেল আসলে তখন বিক্রি করবেন বলে জানান তারা।

ভোক্তাদের অভিযোগ, সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিতে না দিতেই বাজারে যে গতিতে দাম বেড়ে যায়, কমানোর ঘোষণা দেওয়ার কয়েক দিন পরও তা কমতে দেখা যায় না। ফলে কাগজে-কলমে কমানোর ঘোষণা দিলেও বাস্তবে সুফল পায় না ক্রেতারা।

শফিক নামের এক ক্রেতা বলেন, সরকারের তদারকির অভাবে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামতো দাম বাড়ান বা কমান।

বুধবার (৫ অক্টোবর) সকালে ঢাকার কাওরানবাজারে তেল কিনতে আসেন নাজমুল হাসান। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, গণমাধ্যমে শুনি দাম কমেছে কিন্তু কিনতে গেলে দেখি আগের দরই। তাহলে কাগজে-কলমে কমিয়ে কী লাভ?

কয়েকজন মুদি দোকানি জানান, দাম কমানোর আগে কৌশলে ডিলারদের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের বেশি পরিমাণে তেল সরবরাহ করে কোম্পানিগুলো। এরপর হুট করে দাম কমানোর ঘোষণা দেয়। এতে বিপদে পড়ি আমরা ছোট ব্যবসায়ীরা।

তবে আগামী দু-এক দিনের মধ্যেই নতুন দরের তেল বাজারে পৌঁছে যাবে, এমনটি বলছে ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী ও বিপণনকারী কোম্পানিগুলো।

ইত্তেফাক/কেকে