চিত্রনায়ক আরিফিন শুভ। নিজের প্রতিটি সিনেমা দিয়েই আলোচনায় থাকেন। পাশাপাশি তার ভিন্ন ভিন্ন লুকও বেশ প্রশংসা কুড়ায়। আসছে বছরের শুরুতেই মুক্তি পাচ্ছে তার আলোচিত একটি সিনেমা। নিজের নতুন সিনেমা, চলমান ব্যস্ততাসহ ইন্ডাস্ট্রির নানা দিকে নিয়ে তিনি কথা বললেন ইত্তেফাকের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এ এম রুবেল
অনেকদিন পর আপনার নতুন সিনেমা প্রেক্ষাগৃহে আসছে। প্রত্যাশা কেমন থাকছে?
সিনেমাটি নিয়ে আসলে নতুন করে তেমন কিছু বলার নেই। অনেক আগে ‘ব্লাক ওয়ার’ সিনেমাটির কাজ শেষ হলেও করোনাসহ নানা কারণে মুক্তিতে বিলম্ব হয়েছে। এখন যেহেতু সিনেমার সুবাতাস বইছে, সেই সময়ে ‘ব্লাক ওয়ার’ মুক্তি পাচ্ছে। সেই জায়গা থেকে প্রত্যাশা করছি, মানুষ ভালোবেসে সিনেমাটি গ্রহণ করবেন। তাহলেই অনুপ্রেরণা নিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হতে পারব।
সিনেমাটির প্রথম পর্বের নাম ‘মিশন এক্সট্রিম’ হলেও দ্বিতীয় পর্বের নামে ভিন্নতা থাকছে। এর কারণ কী?
সিনেমাটি নির্মাণে সময়ই কিন্তু এই পর্বটির নাম ‘মিশন এক্সট্রিম টু’ না করে ‘ব্লাক ওয়ার’ রাখা হয়েছে। কেন এই পর্বের নাম ‘ব্লাক ওয়ার’ রাখা হয়েছে সেটা সিনেমাটি দেখার পর আমাদের আয়োজন এবং গল্পই সবাইকে বলে দেবে।
এর বাইরেও মুক্তির তালিকায় আপনার একাধিক সিনেমা রয়েছে। সিনেমাগুলোতে শুভর চরিত্রে ভিন্নতা কেমন থাকছে?
সবার রিজিগুলো দেখলাম, এবার আমার সিনেমাগুলো একে একে রিলিজ হবে। গত ৪ বছরে ৩টি সিনেমায় অভিনয় করেছি। এর মাঝে শুধু একটা ভাগ ‘মিশন এক্সট্রিম’ শুধু মুক্তি পেয়েছে। এখন ‘ব্লাক ওয়ার’, ‘নূর’, ‘মুজিব’ মুক্তি পাবে। মিশন এক্সট্রিমে যা করেছি সেটা কোনো অভিনেতা আগে করেছে কি-না জানি না। ‘নূর’-এ একটি ঝলক সবাই দেখেছে। শিগগিরই অন্যান্য লুক সামনে আসবে। ‘মুজিব’ নিয়ে দু-বছর কষ্ট করেছি। দর্শকরা প্রতিটি সিনেমায় ভিন্ন ভিন্ন স্বাদ পাবেন, এ কথা বলতে পারি।
প্রতিটি সিনেমায় নিজেকে নিয়ে এ ধরনের এক্সপেরিমেন্ট ক্যারিয়ারের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ মনে হয় কি-না?
হ্যাঁ, অবশ্যই এ ধরনের এক্সপেরিমেন্ট ঝুঁকিপূর্ণ এবং চ্যালেঞ্জিং। অনেক কষ্টের এবং ত্যাগের। কিন্তু আমার মনে হয় এই ত্যাগগুলো স্বীকার করে যদি দর্শকদের নতুন কিছু দিতে পারি, তবেই আমার সার্থকতা। আমি চাই, আমি কী করেছি, আমার কোনো ত্রুটি আছে কি-না, সেটা ছবি দেখে সবাই বিচার করুক।
চলচ্চিত্র সুদিনের আভাস দিচ্ছে বলে অনেকে মনে করছেন। আপনি এই পরিবর্তন কেমন দেখতে পাচ্ছেন?
অবশ্যই, এই সময়ে চলচ্চিত্র সবার ভেতরেই আশার আলো জাগিয়েছে। এখন আমরা সবাই মিলে যদি এই ধারাবাহিকতায় বজায় রাখতে পারি তাহলে অনেক শুভ সময় বয়ে আনবে চলচ্চিত্র।
নির্মাতা-শিল্পীরা গল্পনির্ভর কাজের দিকে মনোযোগী হচ্ছেন। এই চর্চাকে কীভাবে দেখছেন?
দেখুন, ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ যখন নির্মিত হয়েছিল তখন কিন্তু সেই ধারায় অনেকগুলো সিনেমা নির্মিত হয়েছিল। এটা আমি নেগেটিভ, পজেটিভ কোনোটাই বলবো না। তবে এটুকু বলবো, আমরা যেন একটা ঘরানায় আবদ্ধ হয়ে না যাই। এতে আমাদের দর্শকরা বোর হয়ে যাবে। কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন গল্প-চরিত্রে কাজ হলে দর্শকরা বোর না হয়ে বিনোদিত হবে।
ওটিটির কাজগুলোতে বৈচিত্র্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মাধ্যমটি চলচ্চিত্রের জন্য কতটা সহায়ক হতে পারবে মনে করছেন?
সারাবিশ্বেই কিন্তু ওটিটি চলচ্চিত্রের জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। আমি মনে করি, ওটিটি সিনেমার বিরুদ্ধে নয়, সহায়ক হিসেবেই দারুণ অবস্থান তৈরি করেছে।
এরইমধ্যে ওটিটির একটি কাজ করেছেন। নতুন কাজের আপডেড আছে কী?
হ্যাঁ, ‘কন্টাক্ট’ শিরোনামে একটি কাজ করেছি। আশা করছি, শিগগিরই নতুন কাজে যুক্ত হতে পারব।
হল সংকট নিয়ে অনেকে কথা বললেও উত্তরণের কোনো পদক্ষেপ দেখা যায় না। এই সংকটে কী করা উচিত মনে করেন?
দেখুন, সরকার থেকে যে বাজেট দেওয়া হয়েছে সেটার বাস্তবায়ন আশা করছি আগামী ৫ বছরের মাঝেই দেখতে পাবো। হলগুলো সংস্কার ও পুনঃনির্মাণে সরকারি সহযোগিতা পেলে রাতারাতি একটা পরিবর্তন আসবে। করোনা না হলে হয়তো আরও নতুন নতুন হল আমরা দেখতে পেতাম।