জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ভোর থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিল না। অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি জেনারেটর দিয়ে চালানো সম্ভব না হওয়ায় বিদ্যুতের অভাবে এই হাসপাতালে শনিবার (৮ অক্টোবর) বন্ধ ছিল অপারেশন। এতে রোগীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
প্রতিদিন প্রায় ৮০টি অপারেশন সম্পন্ন হয় এই হাসপাতালে। যাদের অপারেশন করার নির্ধারিত সময় ছিল, তারা এসে বসেছিলেন। কিন্তু বিদ্যুতের অভাবে অপারেশন করতে পারেননি চিকিৎসকরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিদ্যুতের জন্য ডেসকোর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে কথাও বলেন। ডেসকোর কর্মকর্তারা বলেন, বিদ্যুৎ লাইনে সমস্যা আছে, ঠিক করছি।
এর কয়েক ঘণ্টা পরও বিদ্যুৎ না পেয়ে আবার হাসপাতাল থেকে ডেসকোর কর্মকর্তাদের ফোন করা হলে তারা বলেন, পাশের একটি ভবনে মিটিং হচ্ছে। পরে দেখছি। জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেন, জেনারেটর দিয়ে অত্যাধুনিক মেশিন অপারেট করা কঠিন।
বেলা ১টা ৫০ মিনিটে ইত্তেফাকের এই প্রতিনিধি ডেসকোর এমডির সঙ্গে কথা বলে হাসপাতালে বিদ্যুৎ না থাকার বিষয়টি অবহিত করেন। এর এক মিনিটের মধ্যে বিদ্যুৎ চলে আসে। পরে হাসপাতালের জরুরি চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম সচল হয়।
সরকারি হাসপাতাল হওয়ায় এর জরুরি বিভাগ ও আইসিইউতে অনেক সংকটাপন্ন রোগী থাকেন। বিদ্যুৎ না থাকায় তাদেরও পোহাতে হয়েছে ভোগান্তি।