শনিবার, ০৩ জুন ২০২৩, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

নাসার চোখে ‘সৃষ্টির স্তম্ভ’

আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২২, ১৩:০৭

কালচে নীল মহাশূন্য। তার মাঝে হাজারো উজ্জ্বল তারা। এগুলোকে ঘিরে আছে মহাজাগতিক কণা ও গ্যাসীয় আবরণ। অনেকটা যেন স্তম্ভের মতো। প্রথমবার সেই দৃশ্যের এতটা সুস্পষ্ট ছবি মানবজাতির সামনে তুলে ধরলো জেমস টেলিস্কোপ। এ যেন শিল্পীর কল্পনার থেকেও লক্ষ গুণ সুন্দর!

গত বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।

নাসার বরাতে আল-জাজিরা জানিয়েছে, পৃথিবী থেকে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার আলোকবর্ষ দূরে বিশাল ‘ইগল নীহারিকা’র মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা স্বর্ণ, তামা ও বাদামি রঙের সারি সারি স্তম্ভগুলোর চমৎকার কিছু ছবি ধারণ করেছে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যেসব ছবি জেমস ওয়েব ধারণ করেছে, তাতে বেশ কয়েকটি স্তম্ভের শেষে উজ্জ্বল লাল লাভার মতো চিহ্ন দেখা যাচ্ছে। লাভাগুলো তারা থেকে বিচ্ছুরিত হয়েছে এবং এখনও সৃষ্টি হচ্ছে। যার বয়স কয়েক লাখ বছর।

নাসা জানিয়েছে, নবীন তারাগুলো সুপারসনিক জেটের মতো। এর পুরু স্তম্ভগুলো থেকে যেসব পদার্থ নির্গমন হয়, সেগুলো মেঘের সঙ্গে সংঘর্ষ করে।

স্পেস টেলিস্কোপ সায়েন্স ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞান প্রোগ্রাম ম্যানেজার ক্লাউস পন্টোপিডান টুইটারে এক পোস্টে বলেন, মানুষের আগ্রহের কারণে সৃষ্টির স্তম্ভগুলো আমাদের প্রকাশ করতে হয়েছে।

নাসার জ্যোতির্পদার্থবিদ অ্যাম্বার স্ট্রঘন টুইটারে লিখেছেন, মহাবিশ্ব সুন্দর!

নাসার মতে, নতুন ছবিগুলোর মাধ্যমে গবেষকরা এ অঞ্চলে গ্যাস ও ক্ষুদ্রকণার পরিমাণসহ নবগঠিত নক্ষত্রের আরও সুনির্দিষ্ট গণনা করতে পারবেন। নক্ষত্র গঠনের মডেলগুলোকে পুনর্গঠন করতেও এটি সহায়ক হবে।

উল্লেখ্য, গত জুলাই থেকে কার্যকরী এই শক্তিশালী স্পেস টেলিস্কোপ এখন পর্যন্ত মহাবিশ্বের বেশকিছু ছবি প্রকাশ করেছে। বিজ্ঞানীরা আশাবাদী, এটি একটি নতুন যুগের সূচনা করবে। কয়েক বিলিয়ন ডলারে নির্মিত এই টেলিস্কোপের মূল লক্ষ্যগুলোর মধ্যে একটি হলো, তারার জীবনচক্র অধ্যয়ন করা।

ইত্তেফাক/এসকে