ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটগুলোর মধ্যে অন্যতম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। প্রায় ৬ বছর পর বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার পর থেকে প্রাণ ফিরে এসেছে সংগঠনের রাজনীতিতে। ২৬ তম এই সম্মেলনকে সামনে রেখে উচ্ছ্বসিত সকল পদ প্রত্যাশী নেতা ও তাদের কর্মীরা।
রাবি শাখা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠনের জন্যে পদ প্রত্যাশীদের সাত কার্যদিবসের মধ্যে জীবনবৃত্তান্ত জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আগামী ১২ ই নভেম্বর (রোববার) রাবি ও রুয়েট শাখার সম্মেলনের তারিখ নিশ্চিত করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
এই সম্মেলনের মাধ্যমেই উঠে আসবে রাবি ও রুয়েট ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্ব। নতুন নেতৃত্বের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরে প্রস্তুত বলে জানান রাবি শাখা ছাত্রলীগের বর্তমান নেতারা। ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নানা কারণে গুরুত্ব বহন করছে রাবি ও রুয়েট ছাত্রলীগের এই সম্মেলন। তাই সম্মেলনের উত্তাপ এখন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সর্বত্র।
সম্মেলনকে ঘিরে ক্যাম্পাসে নিয়মিত শো-ডাউনও করছেন পদ প্রত্যাশীরা । সর্বত্র চলছে আলোচনা। কর্মসূচিতে উপস্থিতি বাড়াতে, নেতার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ব্যস্ত সময় পার করছে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। প্রত্যেক কর্মী হিসাব কষছেন, তার ‘নেতা’কমিটিতে কাঙ্ক্ষিত পদ পাচ্ছেন কি না।
পদ প্রত্যাশীরা বলছেন, দীর্ঘ ৬ বছর পর সম্মেলন পেয়ে আমরা উচ্ছ্বসিত। ইতোমধ্যেই সম্মেলনকে ঘিরে ক্যাম্পাসে আমরা আমাদের কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছি, প্রস্তুতি নিচ্ছি।রাবির মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটে যোগ্য নেতৃত্বই বাছাই হবে বলে আমরা আশা করি। সম্মেলনকে সফল করতে আমরা আমাদের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করে যাব।
সম্মেলন বিষয়ে জানতে চাইলে রাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনূ বলেন, সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাবি শাখা সম্মেলনের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে। আমরা আগামী ১২ নভেম্বর সম্মেলনের মাধ্যমে সুষ্ঠু পরিবেশে দায়িত্বশীলদের হাতে নতুন দায়িত্ব তুলে দিতে চাই।
ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতারা বলছেন, এবারের কমিটিতে নিয়মিত ছাত্রদেরই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সর্বশেষ শাখা সম্মেলন হয় ২০১৬ সালের ৮ ডিসেম্বর। ওই কমিটির মেয়াদ পাঁচ বছর আগেই শেষ হয়। কিন্তু এর মধ্যে আর নতুন কমিটি হয়নি।