গত কয়েকদিন ধরে ঈশ্বরদীতে শীতের প্রকোপ বাড়ছে। শীত বাড়ার পর ঠাণ্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়েছে। শীতজনিত রোগে আক্রান্তরা ভিড় করছে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এদের বেশির ভাগই শিশু-বৃদ্ধ। এছাড়াও রয়েছে নানা বয়সী মানুষ, তবে এ সংখ্যা কম। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইতিপূর্বে প্রতিদিন প্রায় চার শতাধিক রোগীর সমাগম হলেও এখন এই সংখ্যা প্রায় ২৫ ভাগ বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার ঈশ্বরদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিসংখ্যান বিভাগের নাজনীন আক্তার জানান, এক সপ্তাহে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে ৩ হাজার ১৮৪ জন রোগী চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করেছে। এদের মধ্যে ৪৯৪ জন (০-৪ বছরের) শিশু এবং ৭০৬ জন পঞ্চাশোর্ধ্ব রোগী। নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৪ জন রোগী। এছাড়াও প্রতিদিন জরুরী বিভাগে চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন শত শত রোগী।
ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসমা খান জানান, হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন প্রায় ৪০০ রোগী চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। কিন্তু গত কয়েক দিনে এই সংখ্যা অনেক বেড়েছে। এদের অধিকাংশই ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত।
পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আব্দুল বাতেন বলেন, এ সময়ে বাতাসে ধুলোবালি বেশি থাকায় অনেকের অ্যালার্জি, শ্বাসকষ্ট, কাশি, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস দেখা দেয়। এ সময় রোগবালাই থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় সচেতনতা। শীতের সময় শিশু ও বৃদ্ধদের দিকে বেশি যত্নবান হওয়া প্রয়োজন। শিশুদের ঠাণ্ডা লাগলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।