ইসরায়েলের মনোনীত প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সোমবার (২১ নভেম্বর) সাবেক প্রধানমন্ত্রী এহুদ ওলমার্টের বিরুদ্ধে মানহানি মামলায় জিতেছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
তেল আবিবের একজন বিচারক জানান, ওলমার্ট নেতানিয়াহু পরিবারকে মানসিকভাবে অসুস্থ বলে চিহ্নিত করেন। এই নিয়ে ওলমার্টের বিরুদ্ধে নেতানিয়াহু মানহানির মামলা করলে আদালত নেতানিয়াহুর পক্ষে রায় দেয়। দুই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে আইনি লড়াই ইসরায়েলি মিডিয়ায় তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।
ওলমার্ট ২০০৬ সালে প্রধানমন্ত্রী হন কিন্তু ২০০৯ সালে তিনি দুর্নীতির অভিযোগে পদত্যাগ করেন। সেই বছর নেতানিয়াহুর ওলমার্টের পদের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপর থেকে তাদের সম্পর্কের মধ্যে ফাটল আরও গভীর হয়।
২০০৯ সালের এপ্রিলে এক সাক্ষাৎকারে ওলমার্ট অভিযোগ করেন, নেতানিয়াহু, তার স্ত্রী সারা ও ছেলে ইয়ার সবাই মানসিক অসুস্থতায় ভুগছেন। নেতানিয়াহু ওলমার্টের অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং পাল্টা মানহানির মামলা করেন।
বিচারক অমিত ইয়ারিভ নেতানিয়াহুর পক্ষে রায় দিয়ে জানান, কাউকে মানসিকভাবে অসুস্থ বলা একজন ব্যক্তির জন্য অপমানজনক হতে পারে। এই মামলায় ওলমার্টকে ১৮ হাজার ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক।
এই রায়ের প্রশংসা করে নেতানিয়াহুর আইনজীবী ইয়োসি কোহেন জানান, পরিবারের বিরুদ্ধে আরেকটি মিথ্যা চক্রান্ত চূর্ণ করা হয়েছে।
২০০৯ সালে ওলমার্টের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার পর, নেতানিয়াহু ২০২১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ১৪ মাস বিরোধী দলে কাটিয়েছেন তিনি। তবে গত ১ নভেম্বর নির্বাচনে জয়ী হন তিনি।
নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টি ও তার মিত্ররা, দুইটি অতি-অর্থোডক্স ইহুদি দল ও ধর্মীয় জায়োনিজম নামে একটি ক্রমবর্ধমান ডানপন্থী জোট এখন ইসরায়েলের পার্লামেন্টে ১২০টি আসনের মধ্যে ৬৪টি নিয়ন্ত্রণ করছে।